পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করতে ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত ক্যাভুসোগ্লু। তিনি বলেন, ১৯৬৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করতে ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোকে বিশ্বের অন্যান্য দেশকে উৎসাহিত করতে হবে।
বুধবার তুরস্কে সংগঠনটির ১৮টি দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এক সম্মেলনের তিনি এসব কথা বলেন। জেরুজালেম ইস্যুতে জরুরি এ বৈঠকের আয়োজন করেছে ওআইসি।
তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যারা পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে সমর্থন করি, তাদের উচিত বিশ্বের অন্য রাষ্ট্রগুলোকে বোঝানো যে, ১৯৬৭ সালের সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী।’
ক্যাভুসোগ্লু বলেন, ‘আমরা এখানে নিপীড়ন বন্ধের উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছি। যুক্তরাষ্ট্র মানবিকতাকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। ইসরাইল তার দখলদারিত্বের প্রচেষ্টাকে বৈধ করার চেষ্টা করছে। আমাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কোনো কার্যকারিতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আসুন, জেরুজালেমকে রক্ষা করি, জেরুজালেম তিন ধর্মের মানুষের (মুসলমান, খ্রিস্টান ও হহুদি) কাছেই পবিত্র। অন্যান্য রাষ্ট্রকেও ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।’
বুধবারের এই বিশেষ সম্মেলন ইসলামিক উম্মাহ তথা মুসলিম সম্প্রদায়ের সংগ্রামের জন্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী এবং তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, তুরস্ক, ইরান, রাশিয়া, চীনসহ বিশ্বের নেতা এবং জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা ট্রাম্পের এই একতরফা ঘোষণার নিন্দা জানায়।
শুধু তাই নয়, এই ঘোষণার প্রতিবাদে মুসলিম দেশগুলোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পরপরই ফিলিস্তিনের রামাল্লা, পশ্চিম তীর, গাজা ও বেথেলহেমে মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তাদের বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েকশ আহত হয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন