চলতি বছর ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। প্রতি বছরই দেশ দুটি দিবসটি পালন করে। এ দুটি দেশই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ‘পাক-ভারত যুদ্ধ’ হিসেবে বিবেচনা করে। তারা এটাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এখানেই শেষ নয়, যুদ্ধের পর উভয় দেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে (জেনেভা কনভেনশন) যুদ্ধ বন্দি বিনিময় চুক্তি করেছে, যে চুক্তিতে বাংলাদেশকে কোনো পক্ষ ধরেনি।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ‘১৯৭১ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে’ ভারতের সামরিক বিজয়কে উদযাপন করবে দুই দেশই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জীবন্ত রাখতে ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধে অংশ নেয়া অন্যান্য সেনারা ভারতের অনুষ্ঠানে যোগদান করে।
প্রতি বছরই দিবসটিকে কেন্দ্র করে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামসে স্ত্রী এবং সঙ্গীসহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ করে ভারত। বাংলাদেশ সরকারও ১৯৭১ সালের যুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতীয় সেনাদের আমন্ত্রণ জানায়।
এসব উৎসবে তিন শতাধিক বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রায় দেড়শ ভারতীয় যোদ্ধা অংশ নেয়। চলতি বছরের ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিজয় দিবসে অংশ নেবে বাংলাদেশের ৩০ মুক্তিযোদ্ধা এবং সশস্ত্র বাহিনীর ছয় কর্মকর্তা। সঙ্গে তাদের পরিবার পরিজনও থাকবে।
বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, তিন সংসদ সদস্য, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের একজন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, শসস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, কূটনীতিবিদ, সিনিয়র আমলা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবন জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িসহ আরো কিছু ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করবেন। বাংলাদেশে আমন্ত্রিত হয়ে আসবেন ২৭ ভারতীয় যোদ্ধা এবং চারজন কর্মরত সামরিক কর্মকর্তা। ১৪ ডিসেম্বর তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন লে. জেনারেল (অব.) জয় ভগবান সিং যাদব। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বীরত্বসূচক ভূমিকার কারণে তাকে বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল। তিনি বগুড়ায় যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন