আফগানিস্তানে একটি অভিন্ন স্বার্থ খুঁজে পেতে পরস্পরকে দোষারোপের বদলে মতপার্থক্য কমিয়ে আনতে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র নীরব কূটনীতির পথে হাটছে বলে দেশ দুটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে ৪ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের ইসলামাবাদ সফরে আগে ও পরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা সম্পর্ক উন্নতির ব্যাপারে দুদেশের ইচ্ছার প্রতিফলন।
ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে পাক রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমদ চৌধুরী বলেন যে ম্যাটিসের সফর দুদেশের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ প্রচেষ্টার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র ডানা হোয়াইট গত সপ্তাহে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে অভিন্ন স্বার্থগুলো খুঁজে পেতে ইসলামাবাদ সফরে যান ম্যাটিস।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র এবং এই অঞ্চলের স্বার্থে আফগানিস্তান একটি রাজনৈতিক পুনর্মিলন উত্সাহিত করা প্রয়োজন। তাই আমরা একটি অভিন্ন স্বার্থ খুঁজে পেতে এবং তা এগিয়ে নিতে পাকিস্তানীদের সঙ্গে কাজ করে যাবো।’
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে আফগানিস্তানে হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তান হাক্কানি নেটওয়ার্ককে নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে অভিযোগ করে আসছিল তা সম্প্রতি আর পুনরাবৃত্তি করেনি।
অন্যদিকে, পাকিস্তানকে দোষারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তার ব্যর্থতা লুকানোর চেষ্টা করছে, এমন অভিযোগও সামনে আনেনি ইসলামাবাদ।
ওয়াশিংটনে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলেন যে এই পরিবর্তন বেশ লক্ষণীয়, বিশেষ করে আফগানিস্তানের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নতুন কৌশল ঘোষণার পরের অবস্থার তুলনায়।
তালেবানদের সামরিক পরাজয়ের মাধ্যমে কাবুলের সাথে সহযোগিতা করা এই কৌশলের মূল উপাদান।
আফগান সরকার ও তালেবানদের পুনর্মিলনকে পাকিস্তান সমর্থন করলেও আফগান সংঘাতের কোন সামরিক সমাধান নেই বলে ইসলামাবাদ সতর্ক করে দেয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন