জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে এখনও চলছে প্রতিবাদের ঝড়। প্রতিবাদের এ মিছিলে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
আজ (সোমবার) ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দূতাবাস অভিমুখে মিছিল বের করেছে তিনটি ইসলামিক দল।
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ইসলামী যুব আন্দোলন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে তিনটি ইসলামিক দলের নেতাকর্মীরা সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এদিকে, গতকাল রবিবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায়ও একটি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও দেশটির ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীতেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল প্রোসপারাস জাস্টিস পার্টি (পিকেএস) রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।
গত বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর) ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দানের পর জাকার্তার এই বিক্ষোভ লোক সমাগমের দিক থেকে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। বিক্ষোভকারীরা এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে।
বিক্ষোভকালে ‘আমেরিকা আল কুদস থেকে হট যাও’, ‘জেরুসালেম ও ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি আমরা’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান লেখা ব্যানার ফেস্টুন বহন করে। এ সময় ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিস্তিনের পতাকাও বহন করে তারা। বিক্ষোভের পর পিকেএসের এক লিখিত বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও অবমাননাকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, রবিবার এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার প্রধান প্রধান আন্তর্জাতিক শহরগুলোর গুরত্বপূর্ণ স্থানে জমায়েত হয়েছিল লাখ লাখ বিক্ষোভকারী। তাদের সবার হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা। স্লোগানে স্লোগানে তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছিল।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এসময় বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করে ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে। জবাবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে ও জলকামান ব্যবহার করে।
তুরস্কেও দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করা হয়। এতে কয়েক হাজার লোক অংশ নেন। ইস্তাম্বুলের ইয়েনিকাপি স্কয়ার এদিনে তুর্কি ও ফিলিস্তিনি পতাকায় ছেয়ে গিয়েছিল।
মরক্কোর রাজধানী রাবাতে সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী দলের সদস্য, রক্ষণশীল,সেক্যুলার সবাই এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন