ত্তর কোরিয়াকে সামরিক দিক থেকে মোকাবেলার লক্ষ্যে ‘ড্রোন বাহিনী’ নামে নতুন এক বাহিনী গড়ে তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
১১ ডিসেম্বর সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইওনহ্যাপ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে, আগামী বছর এই ড্রোন কমব্যাট ইউনিট চালু হবে এবং এর কারণে যুদ্ধের রীতিনীতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে।
উত্তর কোরিয়ার সাথে যুদ্ধ কেমন হবে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওই সামরিক কর্মকর্তা বলছেন, ‘এই সেনা ইউনিট গঠন করা হবে ‘ড্রোনবট’ দিয়ে।’ অর্থাৎ এতে ড্রোন থাকবে, সেই সাথে থাকবে রোবট।
উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত পরমাণু বোমা এবং আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মুখে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়া তার গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করতে চায় এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে চায়।
গত ২৯শে নভেম্বর কিম জং-উনের নেতৃত্বাধীন পিয়ংইয়ং সরকার সর্বশেষ যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় তার পাল্লা যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত বলে দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে ব্রিটেনের ফিন্যানশিয়াল টাইমস সংবাদপত্র সূত্রের বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন বাহিনীর মূল কাজ হবে দুটি।
প্রথমত, ড্রোনগুলো দিয়ে শত্রুপক্ষের ওপর নজরদারী চালানো হবে। বিশেষভাবে উত্তরে কোরিয়া যেসব জায়গায় অস্ত্র এবং বোমার পরীক্ষা চালায় সেগুলোর দিকে নজর রাখা হবে। আর দ্বিতীয়ত, এই ড্রোন ঝাঁক বেধে শক্রর ওপর হামলা চালাতে পারবে।
এছাড়া ফিন্যানশিয়াল টাইমস সংবাদপত্রের খবরে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির এমন উন্নতি হয়েছে যে ড্রোনগুলো একে অন্যের সাথে আরও ভালোভাবে যোগাযোগ রাখতে পারে এবং ঝাঁক বেধে আক্রমণ চালাতে পারে।’
এর আগে ৬ ডিসেম্বর বুধবার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাজেটে ৭ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন।
প্রিয়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন