সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের ৯৫ ভাগই টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়েছে। ১১ জন সৌদি প্রিন্স সহ বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী এবং ধনাঢ্য ব্যবসায়ী সহ ২ শতাধিক ব্যক্তিকে দুর্নীতির অভিযোগে আটক করে বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল রিৎজ কার্লটনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মিডিল ইস্ট মনিটর
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ক্রাউন প্রিন্স এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র একভাগ নির্দোষ এবং তাদের বিষয়টি ফয়সালা হয়ে গেছে। বাকি চার ভাগের ফয়সালা হবে আদালতে।
এদিকে সৌদি পাবলিক প্রসিকিউটর সৌদ আল-মুজিব বলেন গত ১০ নভেম্বর যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ২০৮ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা অন্তত ১’শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করেছে।
এধরনের দুর্নীতির অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা এমন অভিযোগ সম্পর্কে ক্রাউন প্রিন্স বলেন, এটি অদ্ভুত অভিযোগ। সৌদি রাজপরিবারগুলোর সিংহভাগ তাকে সমর্থন দিচ্ছে। তার সংস্কারের পেছনেও সমর্থন মিলছে। তিনি বলেন, ১৯৮০ সাল থেকে সৌদি আরবে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি বৃদ্ধি পায়। প্রতিবছর সরকারি খরচের অন্তত ১০ ভাগ দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট হয়ে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন। আর এটি ঘটে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সর্বস্তরে।
বিন সালমান আরো বলেন, বছরের পর বছর সৌদি সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েও কোনো ফল পায়নি। এর কারণ নীচু তলার দুর্নীতি রোধেই কেবল এধরনের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন