এমারসন এমনাংগাগোয়ার শপথের মধ্য দিয়ে গতকাল জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রবার্ট মুগাবের ৩৭ বছরের রাজত্বের সমাপ্তি ঘটল। মুগাবে অধ্যায় শেষ হওয়ার পর তার জন্মভূমির বাসিন্দাদের মধ্যে কোনো ক্রোধ দেখা যায়নি, বরং তাদের মধ্যে ছিল দুঃখবোধের সঙ্গে বিষয়টি মেনে নেয়ার মনোভাব।
রাজধানী হারারে থেকে ৫৫ মাইল দূরে জন্মভূমি কোতমা থেকে বছরের পর বছর সমর্থন পেয়েছেন মুগাবে। প্রেসিডেন্টের জন্মভূমি হওয়ার সুবাদে এখানকার বাসিন্দারাও নানা রকম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছে। বিশেষ করে মুগাবের নেয়া অতি সমালোচিত ভূমি সংস্কার পদক্ষেপ থেকে কোতমাবাসী অনেক সুবিধা পেয়েছে। শহরটির বর্তমান অবস্থার সঙ্গে দেশটির অন্যান্য জায়গার মিল নেই। এখানকার ব্রিজ ও সড়কগুলো অন্য যেকোনো শহরের তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক।
মুগাবের আত্মীয় ও বাল্যবন্ধু জোহানেস চিকানিয়া এএফপিকে বলেন, ‘যখন আমি তার বিষয়ে (বহিষ্কার) জানলাম ও দেশে চলমান ঘটনাবলি দেখলাম, তখন একটি বিষয়ই ভেবেছি এসব ঠিক হচ্ছে না।’ এএফপির সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি মুগাবের সঙ্গে ঘুমানো ও একই প্লেটে খাওয়ার স্মৃতি স্মরণ করে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।
কোতমার বাসিন্দা তবিয়াস সোয়েরো (৪০) এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন, সেজন্য আমরা তার প্রতি ঋণী। আশা করছি, সব কিছু ভালোভাবেই চলবে।’
কিন্তু মুগাবের শাসনকালে জিম্বাবুয়ের বেশির ভাগ অবকাঠামোয় অবহেলার ছাপ স্পষ্ট। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু কোতমার কিছু বাসিন্দা শ্বেতাঙ্গদের জমি জব্দকরণ কর্মসূচি থেকে লাভবান হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ২২ বছর বয়সী থিওফিলিওয়াস চিমাঙ্গা বলেন, ‘অন্যরা কাজ নেই বলে অভিযোগ করলেও আমি বলব যে জমি দেয়া হয়েছে, তাতে আমরা খুশি। প্রাপ্ত জমি ও স্বাধীনতার জন্য আমরা তাকে সবসময়ই স্মরণ করব।’
গত মঙ্গলবার চূড়ান্তভাবে মুগাবের পদত্যাগের ঘোষণা করা হলে হারারে ও দ্বিতীয় শহর বুলাওয়ের মতো কোতমার রাস্তাগুলোয় কোনো উদযাপন চোখে পড়েনি। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, এখানে কোনো উদযাপন আয়োজিত হয়নি। আমরা শুধু শান্তভাবে ঘটনাটি গ্রহণ করেছি মাত্র। সূত্র: এএফপি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন