ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ: ১৯৯০ সালের ২ আগস্ট ইরাক কুয়েত দখল করে নেয় এবং কুয়েতকে ইরাকের অঙ্গ বলে ঘোষণা করে। জাতিসংঘ কুয়েত হতে ইরাকি বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানানোর পরও ইরাক তার বাহিনী সরিয়ে নেয়নি।
.
পরে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে গঠিত বহুজাতিক বাহিনী ইরাকের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায় এবং ইরাকি বাহিনীকে কুয়েত হতে হটিয়ে দেয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ইরাক ১৯৯১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে নেয় এবং যুদ্ধের অবসান ঘটায়।
বসনিয়া-হারজেগোভিনিয়ার যুদ্ধ: ১৯৯২ সালের এপ্রিলে বসনিয়া-হারজেগোভিনা যুগোস্লাভিয়ার রাষ্ট্র কাঠামো থেকে বেরিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এরপর থেকে বসনিয়া-হারজেগোভিনার মুসলমানদের (মোট জনসংখ্যার ৪৪%) সঙ্গে সার্বিয়ার উসকানিতে অর্থোডক্স খ্রিস্টান সার্বদের (মোট জনসংখ্যার ৩৩%) ও রোমান ক্যাথলিক ক্রোটদের (মোট জনসংখ্যার ১৭%) দ্বিমুখী যুদ্ধ শুরু হয়।
এরপর ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেখানে স্বাধীনতার পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক জনগোষ্ঠী স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়! কিন্তু সার্ব ও ক্রোটরা মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যা চালায়। অবশেষে জাতিসংঘ ও ন্যাটোর তত্ত্বাবধানে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে বসনিয়া-হার্জেগোভিনিয়াকে তিনটি অংশে বিভক্ত করে মুসলিম, সার্ব ও ক্রোয়েটদের দিয়ে দেওয়া হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন