জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল সোমবার বলেছেন, দেশটির নতুন সরকার গঠনের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি এ সঙ্কটের মধ্যেও ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির হাল ধরার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। খবর এএফপি’র।
তিনি বলেন, ‘চ্যান্সেলর হিসেবে জার্মানির এ কঠিন সময়ে দেশের ভাল নিশ্চিত করতে আমি আমার সাধ্যমত সবকিছু করবো।’
নতুন কোয়ালিশন সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সরকারের পতন আসন্ন। এখন সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় দেশটিতে নতুন নির্বাচন।
ইউরোপের বড় অর্থনীতির এই দেশটির আর্থিক স্থিরাবস্থা ইতিমধ্যে দুর্বল হয়ে পড়েছে। স্থবির হয়ে পড়া অভাগা সরকার যদি আগামী এক মাসের মধ্যে ঠিক হতে না পারে তবে দেশটির অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে বড় ধরনের অ্যাকশনে যেতে হবে। দেশটিতে বর্তমানে কোনো টেকসই সরকার বিদ্যমান নেই। আগামী নতুন নির্বাচন দেশটির বিগত সেপ্টেম্বর মাসের মীমাংসাহীন বিষয়ে মীমাংসার পথ বলে ধরা হচ্ছে। বিগত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল এক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকায় চ্যান্সেলর মার্কেলের টিকে থাকার জন্য কোয়ালিশন অপরিহার্য।
এক মাস আলোচনার পর ব্যবসায়ীদের সমর্থিত রাজনৈতিক দল এফডিএফ নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডার আলোচনা ত্যাগ করেন এই বলে যে, মার্কেলের কনজারভেটিভ দল ও তার সহযোগী সিডিইউ-সিএসইউ এবং পরিবেশবিদ গ্রীন কোয়ালিশনকে ‘বিশ্বাস ও আস্থায় আনা সম্ভব নয়।’ লিন্ডার বলেন, ‘কু-শাসন করার চেয়ে শাসন না করার পদক্ষেপ উত্তম।’ সেই সঙ্গে আধুনিক জার্মানির ধারণার সঙ্গে একমত নন তারা।
চ্যান্সেলর মার্কেল, এফডিএফ কোয়ালিশনে থাকার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করায় তার পক্ষে দেশটির হাল ধরা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, ‘জার্মানির বিদ্যমান সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় যা উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার তাই করবো।’ মার্কেলের কোয়ালিশন সদস্য গ্রীন পার্টির পক্ষে বলা হয়েছে, মতের ভিন্নতা সত্ত্বেও দেশটির কথা ভেবে যে কোনো সমঝোতা সম্ভব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন