তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানকে একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিতে চ্যালেঞ্জ করেছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিকদারগ্লো ।
সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের (এসএসকে) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কিলিকদারগ্লো’র দুর্নীতি সম্পর্কে এরদোগানের সমালোচনার জবাবে তিনি এই চ্যালেঞ্জ করেন।
শুক্রবার দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ টেকিরড্যাগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
এরদোগানকে উদ্দেশ্য করে কিলিকদারগ্লো বলেন, ‘আপনার যদি সাহস থাকে এবং আপনি যে অনন্যসাধারণ প্রতিভার দাবি করছেন তা যদি থাকে, তাহলে আমার মুখোমুখি হন। আমি আপনাকে দেখিয়ে দেব ‘অনন্যসাধারণ প্রতিভা’ কী। কিন্তু কেন আপনি আমার মুখোমুখি হচ্ছেন না?’
১৯৯০ এর দশকে কিলিকদারগ্লো সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের (এসএসকে) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুনীর্তির অভিযোগ আনেন এরদোগান। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়ায় পরিণত করেন বলে এরদোগানের অভিযোগ।
এর জবাবে সিএইচপি নেতা বলেন, ‘এই ১০ বছরে সেনাবাহিনীর ইন্সপেক্টররা ইতোমধ্য এই অভিযোগের তদন্ত করেছে। তারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিন্দুমাত্র প্রমাণ খুঁজে পায়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার পদত্যাগের সময় সেখানে ২.৩ বিলিয়ন লিরা ঘাটতি ছিল। কিন্তু আজ সেখানে ২১ বিলিয়ন লিরা ঘাটতি রয়েছে। কেন এটা ঘটল?’
কিলিকদারগ্লোর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এরদোগান বলেছেন যে, মূল্যস্ফীতির হিসাবে ওই সময়ের ২ বিলিয়ন লিরার বর্তমান মূল্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন লিরার সমান।
১৭ নভেম্বর তারিখে ক্ষমতাসীন জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (এ কে) স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান বলেন, ‘অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কিলিকদারগ্লোর প্রাথমিক জ্ঞান নেই। তিনি এটিকে দেউলিয়ায় পরিণত করেছিলেন কিনা তার বিচারের ভার জনগণের কাছে ছেড়ে দিলাম।’
সিএইচপি নেতা এরদোগানের মন্তব্যের সমালোচনা করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি টেলিভিশন বির্তকের আহ্বান জানায়।
তিনি বলেন, ‘আপনার যদি সাহস থাকে তাহলে আমার সম্মুখে বসুন এবং আমাকে মোকাবেলা করুন।’
‘ট্যাক্সের অফ-শোর অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহারের জন্য তিনি এরদোগানের ছেলেদের তীব্র সমালোচনা করেন।
সূত্র: হুরিয়াত ডেইলি নিউজ
বৈঠকে বসছে রাশিয়া-ইরান-তুরস্ক
তুরস্ক ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য তুরস্কে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তার সঙ্গে রয়েছে উঁচু পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল।
রবিবার তুরস্কের আনাতোলি শহরে ত্রিপক্ষীয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে যোগ দেবেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং তুর্কি পররাষ্টমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু।
আগামী বুধবার রাশিয়ার সোচি শহরে ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে। এর আগে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তুরস্কে বৈঠকে বসছেন। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে শনিবার তিন দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে তেহরানে।
সিরিয়া ইস্যুতে জেনেভায় গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে হতে যাচ্ছে। ওই সম্মেলনে তিন দেশের অবস্থান ও নীতি কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এ তিন দেশের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাত দফা বৈঠক হয়েছে এবং সেসব বৈঠক থেকে সিরিয়ায় নিরাপদ অঞ্চল গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে যার ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত আরব দেশটিতে সহিংসতা ব্যাপকমাত্রায় কমে গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন