স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে এক সহকর্মীকে মেরে ফ্রিজে ভরে রাখলেন এক ভারতীয়। দক্ষিণ দিল্লির মেহরাওলি থেকে পুলিশ সেই সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, ৩১ বছর বয়সী ওই ভারতীয় পুরুষ সেই সহকর্মীকে মেরে কেটে কেটে টুকরো করে একটি ফ্রিজে ভরে রেখেছিলেন।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত সেই ভারতীয়ের নাম বাদল মণ্ডল ওরফে স্বপন সিংগ্রা। বিপিন জোশি নামে এক সহকর্মীকে মাংস কাটার ছুরি দিয়ে কেটে ফ্রিজে ভরে রাখেন বাদল। নিজের বাসাতে ডেকে নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটান বাদল। বাদল ও বিপিন একই রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।
বিপিনকে গত ৯ অক্টোবর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ১৫ অক্টোবর তার দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের তিন দিন পর মূল অভিযুক্ত বাদলকে ওডিশার রাউরকেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বাদলের এক আত্মীয় পুলিশকে তার অবস্থান জানিয়ে দিলে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
তদন্তের সময় বাদল পুলিশের কাছে স্বীকার করে, তার অনুপস্থিতে বেশ কয়েকবার বাসায় যেতে দেখেছেন ওই সহকর্মীকে। তার স্ত্রীর সঙ্গে বিপিনের অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহ করছিলেন তিনি এ কারণে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
হত্যার আগে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়েছিলেন বাদল যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে। রেস্টুরেন্ট থেকে একটি মাংস কাটার বড় ছুরি নিয়ে এসেছিলেন। রাতে সহকর্মী বিপিনকে বাসায় আমন্ত্রণ জানান বাদল। দুজন মিলে মদ খান।
এক পর্যায়ে মাংস কাটার ছুরি দিয়ে বিপিনকে হত্যা করেন বাদল। এরপর তার মরদহেকে কয়েক টুকরা করে ফ্রিজে ভরে রাখেন।
হত্যা শেষে কলকাতায় শ্বশুর বাড়িতে যান বাদল। মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালালেও তাকে পায়নি।
পরে এক আত্মীয়ের বরাতে জানা যায়, বাদল আসলে ওডিশার রাউরকেলাতে আছেন। সেখান থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, এই সময়ের মধ্যে নিজের জন্য ভুয়া আইডি কার্ডও বানিয়ে ফেলেছিলেন বাদল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন