সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ডের গোপন দলিল প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯৯২ সালের এক আইন অনুযায়ী আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে এই দলিল প্রকাশ করার কথা ছিল।
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন জন এফ. কেনেডি।
ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ডের গোপন দলিল প্রকাশের অনুমতি দিতে যাচ্ছেন।
ট্রাম্পের অনুমতি পাওয়ার পর এখন আমেরিকার ন্যাশনাল আর্কাইভস আগামী সপ্তাহে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত ৩,০০০-এর বেশি দলিল প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ১৯৯২ সালে পাস হওয়া কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত এক আইনে বলা হয়েছে, আমেরিকার ফেডারেল সরকারকে ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবরের মধ্যে এসব তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি
তবে পলিটিকো ম্যাগাজিন জানিয়েছেন, ট্রাম্প সরকার কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য গোপন রাখতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ১৯৯০’র দশকে তৈরি হওয়া এসব দলিলের ওই সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ পেলে তাতে বর্তমানে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর অভিযান সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রকাশ হয়ে পড়তে পারে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র লিন্ডসে ওয়াল্টার্স বলেছেন, ১৯৯২ সালের আইন মেনে কেনেডি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত যথাসম্ভব সর্বোচ্চ পরিমাণ দলিল প্রকাশ করা হবে।
টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে সমবেত জনতার সঙ্গে করমর্দন করছেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি (১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর); এর কিছুক্ষণ পরই তাকে হত্যা করা হয়
জন এফ. কেনেডি ছিলেন আমেরিকার ৩৫তম প্রেসিডেন্ট। ১৯৬১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। তার হত্যাকাণ্ডের পরপরই তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একটি কমিশন গঠন করেন যা অনানুষ্ঠানিকভাবে ওয়ারেন কমিশন নামে পরিচিত।
ওই কমিশন ১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরে ৮৮৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় যেখানে বলা হয় লি হারভি ওসওয়াল্ড নামের এক ব্যক্তি একাই এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। কিন্তু এই তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত হতে পারেননি বহু গবেষক। তাদের মতে, কেনেডি হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র যা বাস্তবায়নে কেবল অংশ নিয়েছিলেন ওসওয়াল্ড।
প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে গুলি করার পরপরই মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য ওসওয়াল্ডকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর দুদিন পর পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাকে সিটি জেল থেকে কাউন্টি জেলে নেয়ার সময় একটি নাইটক্লাবের মালিক ওসওয়াল্ডকে গুলি করে হত্যা করে।#
পার্সটুডে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন