জাপানের ৪৮তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন শিনজো আবে সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ। আবে প্রশাসনের ক্ষমতায় থাকা হবে কি না তা নির্ধারণ করবেন দেশটির ভোটাররা। যদিও শিনজো আবের ডাকেই রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগাম এই নির্বাচন।
জনমত জরিপে আবের জোট সরকার এখনও জনপ্রিয়। তবে চমক হিসেবে রয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কৈকে। পুরুষ শাসিত দেশটিতে কৈকে জয়লাভ করলে তিনিই হবেন জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। আর সেটি হলে দেশটিতে নারী অধিকার বিষয়ে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলেই বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
টোকিও’র গভর্নর কৈকে রাজনীতিতে প্রবেশের আগে মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার রাজনীতে প্রবেশ এবং স্থান করে নেয়ার প্রক্রিয়া ছিল অত্যন্ত ধীর গতির। এক বছরের বেশি হয়নি, তিনি টোকিওর গভর্নর হয়েছেন। অবশ্য মিডিয়ার মতোই রাজনীতিতেও সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন ইউরিকো।
শিনজো আবের ঘোষণার পর কনসারভেটিভ পার্টির টিকেট পাওয়া কৈকে গতমাসে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। নির্বাচনী প্রচার কাজের জন্য তিনি যে প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করেছেন তাও বেশ ব্যতিক্রমী। ভিডিওতে ইউরিকো’কে সরাসরি দেখা না গেলেও নারী জাগরণের বিষয়টি তিনি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কৈকে সমর্থকদের মতে, জাপানের রাজনীতিতেও তিনি নতুন কিছু দেখাতে পারেন।
অবশ্য আগাম নির্বাচন শিনজোর পক্ষে থাকলেও কে জয়ী হবেন তা নিয়ে কিছুটা হলেও সংশয় আছে। গেল সপ্তাহে দেশটির রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম ইয়োমিউরি শিমবুন এক জরিপে দেখেছে, শিনজো আবের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং কোমেইতো জোটের জয় প্রায় নিশ্চিত।
জরিপ মতে, এই জোট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৪৬৫ আসনের মধ্যে ৩০০টিতেই জয়লাভ করতে পারে। আবের ক্ষমতায় ফের আসতে প্রয়োজনের চাইতে তা বেশিই হবে। কেননা ক্ষমতা নিশ্চিত করতে আবের জন্য ২৩৩টি আসনই যথেষ্ট।
তবে সংশয়টা হচ্ছে, দেশটির ভোটারদের মধ্যে এখনও প্রায় ২০ শতাংশ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। তাদের সিদ্ধান্ত শিনজো’র বিপক্ষে গেলে অপ্রত্যাশিত ফলাফলও দেখা যেতে পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন