চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় প্রকাশ্যে জঙ্গি সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরির অপচেষ্টা হিন্দুত্ববাদিদের। এসময় তারা ‘একটা-দুইটা মুসলিম ধর, সকাল-বিকাল জবাই কর’, ‘মৌলবাদের আস্তানা জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ শ্লোগান দেয়।
হিন্দু ধর্ম ছেড়ে নও মুসলিম এক তরুণকে বিয়ের জের ধরে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। এসময় তারা 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিয়ে মুসলমানদের জবাই করার হুমকি দেয়।
গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে প্রকাশ্যেই এরকম উস্কানি ও সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদি সংগঠন ইস্কনের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হিন্দুদের মৌলবাদী সংগঠন ইস্কনের অন্যতম মূল পৃষ্ঠপোষক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষামন্ত্রী হবার পর থেকে এই হিন্দু জঙ্গিরা আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হিন্দু ধর্ম ছেড়ে এক তরুণকে বিয়ে করে চট্টগ্রামের প্রাপ্তবয়স্কা এক তরুণী। সেই ঘটনায় তরুণীর হিন্দু পরিবার নওমুসলিম (সেও আগে হিন্দু ছিলো) তরুণটির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা ঠুকে দেয়। সেই ঘটনার জেরে আদালতে শুনানির তারিখেই জঙ্গি হিন্দুরা আদালত চত্বরে প্রকাশ্যেই মহড়া দিচ্ছে। তারা পুলিশের সামনেই মুসলিমদের জবাবই করার স্লোগান দিয়ে চলেছে। এমনকি ঢাল হিসেবে তারা "জয় বাংলা" স্লোগানও দিয়েছে।
মামলার বিবাদীর আইনজীবী মুহাম্মাদ ইব্রাহিম শাহাদাত এর সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আদালতে মামলাটির শুনানি হয়।
শুনানিকালে আদালতকে দালিলিক প্রমাণাদি দিয়ে বলা হয়, সেই তরুণী একজন প্রাপ্ত-বয়স্কা এবং তিনি বুঝে জেনে শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা তরুণীর জবানবন্দি মতে তাকে তার স্বামী অপহরণ করেননি, কিংবা জোরপূর্বক কেউ ধর্মান্তরিত বা বিয়ে করেনি। গত বৃহস্পতিবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেও এই জবানবন্দী দিয়েছিলেন সেই তরুণী।
শুনানিকালে আদালতের বাইরে হিন্দুত্ববাদীরা আক্রমণাত্মক স্লোগান দিতে থাকলে স্থানীয় সাধারণ উৎসুক জনতার মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে বিচারকের দৃষ্টিগোচর হলে আদালত হস্তক্ষেপ করে স্পেশাল ফোর্স এসে হিন্দুত্বাবাদী জঙ্গিদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন