গত বছরের ৮ আগস্ট রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। সেসময় মারধরকারীদের শনাক্ত করা না গেলেও ভুক্তভোগী চিকিৎসক সন্দেহ করছেন ‘প্রলয়’ গ্যাংয়ের সদস্যরাই তাকে মারধর করেছিলেন।
ভুক্তভোগী ওই চিকিৎসকের নাম এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তখন মারধরকারীদের শনাক্ত করতে না পারলেও, তাদের অনেকেই ঢাবি লোগো সম্বলিত টি-শার্ট পরিহিত ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যরা পেটায়। তারা সবাই ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। আর গত বছরের ইন্টার্ন চিকিৎসকের মারধরের ঘটনায় ছিল এই গ্যাংয়ের সদস্যরা। এদের মধ্যে প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এবং শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের তবারক মিয়াকে প্রবল সন্দেহ করেছেনন ওই চিকিৎসক।
আজ সোমবার এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মারধরের কয়েকদিন পর তবারক মিয়া আমার সাথে যোগাযোগ করে মাফ চায়। তাকে নাকি হলের সিনিয়ররা সেই সময় হল থেকে বের করে দিয়েছিল। তাছাড়া তার বাবা জীবিত নাই বলে জানায় সে। তখন আমার কিছুটা সহানুভূতি কাজ করে। আর সে তখন দাবি করে ঘটনাস্থলে ছিল না। তবে আমার প্রবল সন্দেহ ছিল। আমাকে অনেকেই বলেছে, তবারক ঘটনাস্থলে ছিল।
তিনি আরও জানান, তার জিয়া হলের এক সিনিয়র আমাকে ফোন দিয়ে এই ছেলেকে মাফ করে দেওয়ার জন্য রিকুয়েস্ট করে। আমাকে বলে, তোমার বাড়ি কিশোরগঞ্জ আর তবারকের বাড়িও কিশোরগঞ্জ। তাই এলাকার ছোট ভাই হিসেবে তুমি এবারের মতো মাফ করে দাও। আর ছেলেটা এতিম। তখন মায়া কাজ করে এবং তাকে ছাড় দিয়ে দেই। এটা নিয়ে পরে আর এত খোঁজ নেইনি। তবে এক বছর পর দেখলাম নতুন করে অঘটন ঘটালো সেই তবারক। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক।
এছাড়াও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসককে মারধরের বিষয়ে বলেন, গতবছর শহীদ মিনারে যেই ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধর করা হয়েছিল, সেখানেও তবারক ও তার সঙ্গী-সাথীরা ছিল। তবারক প্রথম বর্ষ থেকেই এমন মারদাঙ্গা ছিল। তাছাড়া কিছুদিন আগেও ২০১৯-২০ সেশনের এক শিক্ষার্থীকে দোয়েল চত্বরের কাছে মারধর করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন