স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাইকার সহায়তায় উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৩০ জন ঠিকাদার, রাজমিস্ত্রী ও রডমিস্ত্রীদের উন্নয়নমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার খেয়ে কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী পেটের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে যান।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাইকার সহায়তায় উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৩০ জন ঠিকাদার, রাজমিস্ত্রী ও রডমিস্ত্রীদের সোমবার থেকে তিনদিন ব্যাপি দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে প্রশিক্ষণার্থীদের সকালে নাস্তায় কেক, সিঙ্গারা ও বড়ই দেওয়া হয়। কিন্তু সরবরাহকৃত কেকের মেয়াদ ২ মাস আগেই উত্তীর্ণ ছিল। প্রশিক্ষণার্থীরা বিষয়টি প্রথমে খেয়াল না করেই সেই কেক খান। পরে বিষয়টি কয়েকজন খেয়াল করলে তারা প্রশিক্ষণ বন্ধ রেখে হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী পেটে ব্যথার কথা বলে প্রশিক্ষণ কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
প্রশিক্ষণার্থী মো. রাজিব খান বলেন, আমাদের প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় দিনে নাস্তায় আমাদের যে কেক দেওয়া হয়েছে তার মেয়াদ আরও দুই মাস আগেই উত্তীর্ণ হয়েছিল। সরকারি একটা প্রোগ্রামে এরকম ঘটনা ঘটা সত্যিই লজ্জাজনক।
প্রশিক্ষণে খাবার বিতরণকারী মো. আবুল কালাম বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য বেতাগী বন্দরের মাতৃ ভাণ্ডার থেকে কেক অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু কার্টুন ভর্তি কেক নিয়ে আসি। তবে কার্টুনের ওপরে মেয়াদ লেখা ছিল না বিধায় বিষয়টি তখন নজরে আসেনি।
বেতাগী বন্দরের মাতৃ ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী অরুণ কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, ওই কার্টুনে মেয়াদ লেখা ছিল না। আমার কর্মচারীর ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। এজন্য আমি দায়ী এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
প্রশিক্ষণের সভাপতি ও বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, খাবার আনার আগে মেয়াদ যাচাই করা উচিত ছিল। এ ঘটনায় দোকানদার এবং আমাদের উভয়েরই গাফিলতি রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন