আপন চাচির সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে ভাতিজা হাদিউল্লাহর (২৩) দুই হাতের কেটে দেওয়া হয়েছে। তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে কব্জি কেটে নেন খালু শেখ জালাল মিয়া।
আজ মঙ্গলবার ভোরে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বারৈগাও গ্রামের বাসন্দিা হাদিউল্লাহ। আর শেখ জালাল মিয়া নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাদিউল্লার চাচির দুলাভাই।
পুলিশ জানায়, আপন চাচির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে হাদিউল্লাহর পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে প্রায় সময় হাদিউল্লার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ঝগড়া লেগেই থাকত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাকে চাকরির কথা বলে জালাল মিয়া বাড়িতে ডেকে আনেন। সেখানে রাতে থাকেন হাদিউল্লাহ। পরে ভোর ৪টার দিকে ওই তরুণকে জালাল বাড়ির পাশে একটি ঝোঁপে নিয়ে যান। সেখানে হাত-পা-মুখ বেঁধে হাদিউল্লাহর দুই হাতের কব্জি কেটে দেন জালাল। এ সময় ওই তরুণের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ওই তরুণের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, চাচির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে এই ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে। এ ছাড়া শেখ জালাল একজন শীর্ষ ডাকাত দলের সদস্য। শেখ জালালের নামে পলাশ ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ মামলা করেনি। মামলা দায়েরের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন