শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের কিছুদিন সেবা দিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম। গতকাল সোমবার রাত থেকে ছাত্রলীগের এই টিম অনশনরতদের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মহাইমিনুল বাসার রাজ।
রাজ বলেন, বর্তমানে আমাদের পরিচিত ডাক্তার যারা আছেন তাদের মধ্যে অনেকেই এই সেবা দিচ্ছেন।
তবে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ডাক্তার পাওয়া না গেলে আমরা পেমেন্ট দিয়ে ডাক্তার রাখছি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মহাইমিনুল বাশার রাজ আরো বলেন, গতকাল সোমবার থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের টিম আমাদেরকে আর সহযোগিতা করছে না। তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিভিন্ন ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ওসমানী মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের মেডিকেল টিমের সমন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, অনশনরতদের অনেকের মাঝে করোনার উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু তারা কেউ পিসিআর ল্যাব টেস্ট করাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে করোনার উপসর্গ থাকায় আমরা আপাতত যাচ্ছি না।
শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। আগের দিনের ঘোষণা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া কাউকে উপাচার্যের বাসভবনে যেতে দেননি তারা। সিটি করপোরেশনের দুই কাউন্সিলর উপাচার্যের জন্য খাবার নিয়ে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডি অনশনরতদের অনশন ভাঙাতে গেলে তাঁরা খাবার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
আন্দোলনের সমর্থনে বিকেলে সিলেট নগরে ‘সিলেটের নাগরিকবৃন্দ’র পক্ষে ‘নাগরিক সংহতি’ অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের নাগরিকবৃন্দের আহ্বায়ক এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আরশ আলী, সিপিবি নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বেদানন্দ ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করে এলেও সরকার সংকট সমাধানের জন্য কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করেনি। ভিসি অপসারণ আন্দোলনে সারা দেশের মানুষ সংহতি জানাচ্ছে, সমর্থন করছে। কিন্তু ভিসি নির্লজ্জভাবে পদ আঁকড়ে আছেন।
kalerkantho
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন