ঢালিউডের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির দুটি গাড়ি, ল্যাপটপ ও মোবাইল জিম্মায় চেয়ে আবেদন করবেন তার আইনজীবী। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর আলামত হিসেবে এগুলো জব্দ করা হয়েছিল।
বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। পরীমনি আদালতে হাজিরা দিতে পৌনে ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন। এদিন পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান এ তথ্য জানান।
বুধবার কালো গাড়িতে করে আদালতে হাজির হন পরীমনি। তার গাড়ি ঘিরে ধরে ভক্ত সমর্থকরা। এ সময় পরীমনি হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
এদিন ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে দুপুর ১২টার দিকে এ বিষয় শুনানি হয়।
এর আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন পরীমনি।
গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সেদিন রাত ৮টা ১০ মিনিটে পরীমনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকাল ৫টা ১২ মিনিটে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে কালো একটি মাইক্রোবাসে বনানী থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
এরপর তাকে আদালতে হাজির করলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন