কারাগারে মুশতাকের মৃত্যু স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর চরম আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার (৬ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবন কার্যালয় মাঠে লেখক, সাংবাদিক মুশতাক ও মুজাক্কিরের মৃত্যুর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি ভয়াবহ কালো আইন। এটা হচ্ছে বিরোধী মতের মানুষকে দমন করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। মুশতাককে হত্যা ও কার্টুনিস্ট কিশোরকে নির্যাতন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত।’
তিনি আরও বলেন, ‘লেখক মুশতাককে যে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে কার্টুনিস্ট কিশোরের বক্তব্যে তা প্রমাণিত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে কিভাবে কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাকের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। শুধু মুশতাক, মুজাক্কির ও কিশোর নয়, এখন দেশের সব শ্রেণি পেশার মানুষ নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া প্রতিটি কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমের স্বরকে নিস্তব্ধ করার জন্যই একের পর এক আইন প্রণয়ন করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে দেশের সংবিধান স্বীকৃত স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।’
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘দেশে এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। আজকে কেউ কথা বলতে পারে না, কেউ লিখতে পারে না।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাজা দেয়া হয়েছে। কারাগার থেকে মুক্ত হলেও তিনি এখন গৃহবন্দি।’
রাশেদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি হারুন আল রশিদ, মঈনুদ্দিন রাশেদ, এম এ সালাম, হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন