শীতের রেশ এখনো কাটেনি। এরই মাঝে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকায় মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ জনগণ। ঘরে বাইরে একাধারে সর্বত্রই মশার আক্রমণে দিশেহারা সবাই।
বিশেষ করে জলাশয় ও পৌরসভা নির্মিত খোলা নর্দমার আশপাশ দিয়ে চলাচল দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখে মনে হয় মানুষ যেন মশার রাজ্যে বসবাস করছেন।
কেউবা আবার এ মশার আক্রমণে ডেঙ্গু জ্বরের আশঙ্কাও করছেন। এতে গত বছরের ন্যায় করোনা ভাইরাস ও ডেংগুর প্রকোপ বৃদ্ধির আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে মশক নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষের নীরবতার কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সরেজমিনে পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ঘুরে দেখা যায়, স্থানে স্থানে নোংরা পানির নর্দমা ও খোলা ড্রেনগুলোতে মশার ঝাঁক। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার মশার ঘনত্ব অনেক বেশি।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার উদয়ন আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর শীত মৌসুম আসার পর থেকে এ পর্যন্ত মশা নিধনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারে না মশার যন্ত্রণায়।
পৌর এলাকার নিজগাঁও মহল্লার বাসিন্দা ফজর আলী জানান, শীতের শেষে গরমকালের প্রারম্ভেই মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ সবাই। পৌরবাসী দুর্ভোগ লাঘবে কারোরই কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দাউদ নগর মহল্লার বাসিন্দা চৌধুরী জুনাইদ বলেন, রাতেও মশা, দিনেও মশা- এ কোন সর্বনাশা। ঘরের ভিতরে বাড়ির আঙ্গিনায় অলিগলি কোথায় নেই মশার যন্ত্রণা? যেন মশার রাজ্যে বসবাস।
তিনি বলেন, মশারপাল এখন কামড়ানোর পাশাপাশি চোখ-মুখ দিয়ে ঢুকতে চায়। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনেক বড় আকারের মশার কামড়ে দেহে চুলকানি হয়। একদিকে ডেঙ্গুর ভয় অন্যদিকে করোনা, এ নিয়েই দুর্ভাবনা আছি।
অপর দিকে, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার, বড়চর, মহলুলসুনাম, দক্ষিণ বড়চর বিরামচর, সাবাসপুর, উবাহাটা, সুদিয়াখলা, চরনুর আহমদ ও দাউদনগরের বাসিন্দারা সবাই মশার উপদ্রবে বিপাকে থাকার কথা জানান।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মশার উৎপাতের বিষয়টি নজরে এসেছে। খুব দ্রুত মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন