রাত ১১:৪৫ মিনিট
ফ্যাসিবাদের তৈরি নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত কার্টুনিস্ট কিশোর এবং লেখক মুশতাককে দুইদিন আগে আদালতে আনা হয়েছিলো। জামিন হয় নাই। রিমান্ডে পুলিশের নির্যাতনে মুশতাকের কানের পর্দা ফেটে ইনফেকশন হয়েছিলো। পায়ের গোড়ালি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিলো।তার রিামান্ডে নিরযাতন ও মানষিক যন্ত্রনায় ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত ছিলো। আমাদের মানবাধিকার নেটওয়ার্ক এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মুশতাককে সেদিন খুড়িয়ে হাটতে দেখা গেছিলো উপস্থিত আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা।
তার জামিল সেদিন হয়নি। আওয়ানা হাইকোর্টে
জামিনের আরকটি আবেদন পেন্ডিং।
এখন আর জামিন লাগবে না। খবর পেলাম, আজ মুশতাক জেলেই মৃত্যবরণ করেছে। মৃত্যুর পরে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাসপাতালে এনে মৃত্যুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে ডাক্তারের মুখে।
এই হচ্ছে আজকের বাংলাদেশের চিত্র। তারপরও একদল দলদাস সাংবাদিক নামধারী ফ্যাসিবাদের তোষামোদী করবে। পত্রিকা ও টেলিভিশন বন্ধ করতে সহযোগিতা করবে ফ্যাসিবাদকে।
তথাকথিত শুশীলরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জয়গান গাইবে! বাকী কথিত মানবতাবাদিরা চুপ করে রইবে। যেন নিজের গায়ে তো আর লাগেনি! তাই চুপ করে থাকাই ভাল!
মুসতাকের মৃত্যুর খবরে বামরা নাকি রাতে ঢাকায় মিছিল করেছে। পত্রিকায় এমন একটি খবর দেখলাম।
যদিও এক সময় আমার দেশ সম্পাদককে গ্রেফতার এবং পত্রিকাটি বন্ধের দাবীতে কথিত বাম ও ফ্যাসিবাদের সহযগিরা ঢাকার রাস্তায় লাঠি মিছিল করেছিলেন।
আমার দেশ সম্পাদককে কুষ্টিয়ার আদালতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করা নিয়েও তারা প্রতিবাদ না করে বরং উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেছেন এবং লিখেছেন।
কথা বলার স্বাধীনতা সবারই থাকা চাই।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন