শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ। ছবি : দিদারুল ভূঁইয়ার ফেসবুক থেকে নেওয়া
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের (৫৩) লাশের ময়নাতদন্ত এখনো সম্পন্ন হয়নি। গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে মুশতাকের মরদেহ।
আজ শুক্রবার সাড়ে নয়টার দিকে মুশতাক আহমেদের ঘনিষ্টজন ও একই সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া দিদারুল ভূঁইয়া তার ফেসবুক পোস্টে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের ছবি পোস্ট করে লেখেন,‘এখানে এখন আছেন আমাদের মুশতাক ভাই! আমরা এখন এখানে অপেক্ষা করছি। সব ফর্মালিটিজ শেষ করে লাশ পেতে জুমার সময় পার হতে পারে বলে জেনেছি।’
শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ শরীফ আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শুরু হয়নি। চিকিৎসকরা এলে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে।’
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দী মুশতাক আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মুশতাককে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তিনি গত বছরের মে মাসে রাষ্ট্রবিরোধী স্ট্যটাস দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ছিল। ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে তিনি এই কারাগারে বন্দী ছিলেন।’
মুশতাক আহমেদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকায়। তিনি রাজধানীর লালমাটিয়ায় স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা–বাবার সঙ্গে বসবাস করতেন। দেশে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম কুমির চাষ শুরু করেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন