চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে পড়ার সময়ই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন। তবে বিএনপির ছাত্রসংগঠনটির রাজনীতিতে সরাসরি যুক্ত হন ১৯৮৫ সালে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নকালে। এরপর তিনি ১৯৮৯ সালে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং পরে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালে বন্দরনগরীর বাকলিয়া থানা বিএনপির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে বাকলিয়া থানা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে এক-এগারো সময়কালে সিনিয়র নেতাদের অবর্তমানে চট্টগ্রামে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এই রাজনীতিক। এ সময় তিনি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন নামে একটি চ্যারিটেবল সংগঠনের মাধ্যমে বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ডা. শাহাদাত ২০১৩ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতির পদও লাভ করেন। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি অংশ নেন।
শাহাদাত হোসেন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রামের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি চিকিত্সকদের সংগঠন বিএমএর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএমএ ছাড়াও তিনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
চসিক নির্বাচনে ধানের শীষের এই মেয়র প্রার্থীর বাবা মরহুম আহমদুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মা মিসেস শায়েস্তা খানম একজন গৃহিণী। ডাক্তার শাহাদাত তাঁর মা-বাবার দ্বিতীয় সন্তান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন