বঙ্গোপসাগর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া টেকনাফের ২০ জেলেকে নির্যাতনের পর তাদের ট্রলারের মাছ ও জাল কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এমন অভিযোগ করেছেন ফিরে আসা ট্রলার মালিকরা।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে সেন্টমার্টিনের পূর্বে বঙ্গোপসাগর মাছ শিকাররত অবস্থায় ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার নৌবাহিনী। সারাদিন আটক রেখে নির্যাতনের পর সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দিলে রাত ৮টার দিকে তারা শাহপরীর দ্বীপে ফিরে আসে। ফিরে আসার সময় ৩টি ট্রলারের জাল ও মাছ কেড়ে নেয় তারা।
নির্যাতনে আহত কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। এদের মধ্যে অন্তত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার নুরুল আমিন জেলেদের ফিরে আসা ও নির্যাতনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগর থেকে মিয়ানমার নৌবাহিনী ধরে নিয়ে যায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া গ্রামের কবির মাঝির ছেলে আমির হোসেন, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবুল বশর ওরফে বাইলা, ডাঙ্গারপাড়ার মকবুল আহমেদের ছেলে অলি আহমদ ও নেজাম মাঝির মালিকানাধীন চারটি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার ট্রলার। চারটি ট্রলারে ২০ জন মাঝি-মাল্লা ছিল।
ট্রলার মালিক আমির হোসেনের পিতা কবির আহমদ ফিরে আসা জেলেদের বরাতে জানান, তার নিজেরটা ছাড়া বাকি ৩টি ট্রলারের জাল মাছ কেড়ে নিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। তার ট্রলারের প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাছ কেড়ে নিয়েছে এবং ২০ জেলের সবাইকে কমবেশি মারপিট করেছে মিয়ানমার বাহিনী।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর নাফনদী মোহনা ও বঙ্গোপসাগর থেকে ৯ জন বাংলাদেশি জেলেসহ একটি মাছ ধরার নৌকা ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার। পরবর্তী ঘটনার ২৩ দিন পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদেরকে ফেরত আনা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন স্টেশনের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন