গাভীর খাঁটি দুধের নামে কী খাচ্ছি আমরা। উচ্চমূল্য আর বাজারে দুধের ব্যাপক চাহিদা মাথায় রেখে সাটুরিয়ায় তৈরি হচ্ছে ভেজাল বা নকল দুধ। দেখতে উন্নতমানের দুধ মনে হলেও আসলে তা কেমিক্যাল মিশ্রিত পানি।
এক মণ পানির সঙ্গে পাঁচ কেজি ইকোজেট পাউডার আর ১শ' গ্রাম এরারুট পাউডার দিলেই দেখতে উন্নতমানের দুধ তৈরি করা যায়- এমনি চমকপ্রদ তথ্য দিলেন রাজ্জাক নামে সাটুরিয়ার ভেজাল দুধ ব্যবসায়ী।
সাটুরিয়ায় ভেজাল দুধ তৈরি করে বাজারে সরবরাহের দায়ে আবদুর রাজ্জাক (৬০) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার ফুকুরহাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৭০ কেজি নকল দুধসহ তাকে হাতেনাতে আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ৯টি গ্যালনে নকল দুধ, দুই কেজি এরারুট পাউডার জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাজ্জাককে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ফুকুরহাটি গ্রামের মৃত বিশুরুদ্দিনের পুত্র ভেজাল দুধ ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক বলেন, এক মণ পানির মধ্যে পাঁচ কেজি ইকোজেড ও ১০০ গ্রাম এরারুট পাউডার দিলেই দেখতে উন্নতমানের দুধ তৈরি হয়ে যায়। প্রতিদিন ঢাকার মহাজনদের চাহিদা মতো ৮-৯ মণ দুধ সরবরাহ করতে হয়। ওই বাড়তি চাহিদা পূরণে অতি লোভের আশায় এটা করি। এ ব্যবসা শুধু আমি একাই করি না, যারা দুধ ঢাকায় সরবরাহ করে তারা সবাই এ কাজ করে।
উপজেলার বাজার থেকে দুধ কিনতে হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা লিটার। আর ঢাকার মহাজনরা ৫০ টাকা লিটার করে দাম দেয়। এতে ব্যবসা পোষায় না। তাই বাধ্য হয়ে ৪০ লিটার দুধে ২০ লিটার নকল দুধ মিশিয়ে ঢাকায় পাঠাই।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, বুধবার সকালে ভেজাল দুধ ব্যবসার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে রাজ্জাককে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভেজাল দুধগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভেজাল দুধ তৈরি ও সরবরাহের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন