গাজীপুরে দুই ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ও প্রাণনাশের ভয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৃদ্ধ বাবা মো. জহিরুল হক (৭০)।
মঙ্গলবার একটি পত্রিকা অফিসে স্থানীয় সাংবাদিক ও দুই মেয়ের উপস্থিতিতে অঝোরে কেঁদে চোখ ভাসিয়েছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে জহিরুল হক জানান, তিনি প্যান-প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২৭ বছর চাকরি করেছেন।
২০০৮ সালে গাজীপুর মহানগরের কামারজুরি এলাকায় ৫ কাঠা জমি ক্রয় করেন এবং অবসরের শেষ সম্বল দিয়ে তিনি একটি আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করেন। তার বড় ছেলে একরামুল হক ব্যবসার কথা বলে কৌশলে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। একই সঙ্গে বাড়িটিও লিখে দেয়ার জন্য ছোট ছেলে আনোয়ার এবং একরামুল হক তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়।
নিরাপত্তাহীনতার একপর্যায়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী মেয়ের বাসায় আশ্রয় নেন। পরে তারা বোনের বাসায় গিয়েও বাড়ি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দেয় এবং মারধর করে।
এতে জহিরুল হক রাজি না হওয়ায় তারা গত ২৬ জুন অন্য লোককে বাবা সাজিয়ে টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গোপনে বাড়ি লিখে নেয় এবং জহিরুল হককে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় ২৪ জুলাই গাজীপুর মেট্রোগাছা থানায় অভিযোগ করা হলে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় বাড়ির দখল বুঝে পায়। পুলিশ ছোট ছেলে আনোয়ারকে গ্রেফতার করে। কিন্তু বড় ছেলে একরামুল হক পলাতক থাকায় সে গোপনে এসে জহিরুল হককে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয়।
এ অবস্থায় জহিরুল হক তার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় প্রসাশন ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন