সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার মামলার প্রধান আসামি এম সাইফুর রহমান ও ৪নং আসামি অর্জুন লস্করকে আদালতে নেওয়া হয়। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে একাধিক আইনজীবী থাকলেও আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি। সকল আইনজীবীই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আদালতের সিনিয়র আইনজীবীরা জানান, সিলেট একটি আধ্যাত্মিক নগরী। এ নগরীতে কুলষিত করেছে ধর্ষকরা। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার কারণে সিলেটের কোন আইনজীবী ধর্ষকদের পাশে দাঁড়াননি।
এদিকে, ধর্ষকদের পক্ষে কোন আইনজীবী না দাঁড়ানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সিলেট আইনজীবী সমিতিতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
জানা যায়, স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ কর্মী ও মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও ৪ নং আসামি অর্জুন লস্করকে হাজির করে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানী শেষে বিচারক তাদের ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, ধর্ষণ মামলায় সাইফুর ও অর্জুন লস্করের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। অভিযুক্ত সবাইও ছাত্রলীগ কর্মী।
এদিকে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই তরুণীর স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।
ইতিমধ্যে সাইফুর, অর্জুন, রবিউল, রনি ও রাজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে সহযোগিতা করায় আরো একজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অন্যদিকে রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতের হাকিম শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার তরুণী। এসময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আর আদালত তরুণী জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন