নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মো. ফরিদ (৫০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় দগ্ধ ৩৭ জনের ৩৩ জনই মারা গেলেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে আজ সকালে আবদুল আজিজ (৪০) নামে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, বিস্ফোরণে শ্বাসনালীসহ ফরিদের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় ৩৩ জনের মৃত্যুর পর আমজাদ (৩৭) ২৫ শতাংশ, রিফাত (১৮) ২২ শতাংশ এবং মোহাম্মদ কেনান (২৪) ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। একজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
ফরিদের ছোট ভাই ফজলুল হক জানান, ফরিদের বাড়ি ময়মনসিংহে ত্রিশাল উপজেলায়। নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লায় ঘটনার আগের দিনই মেয়ে খাদিজার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন ফরিদ। শুক্রবারের রাতে এশার নামাজ পড়তে গেলে সেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে দগ্ধ হন চার সন্তানের জনক ফরিদ।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ চলাকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ৩৭ জনকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস, ডিপিডিসি ও সিটি করপোরেশন থেকে পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন