মাগুরার মহম্মদপুরে কেয়া খাতুন (১৮) এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার দীঘা আউনাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কেয়া ওই গ্রামের আবুল শেখের ছেলে প্রবাসী সজিব শেখের স্ত্রী।
কেয়ার মৃত্যুর পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বছরখানেক আগে সজিবের সঙ্গে কেয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের তিন মাস পর সজিব দুবাই চলে যান।
বুধবার দুপুরে কেয়া তার ঘরের দরজা বন্ধ করে আঁড়ার সঙ্গে গলায় উড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। এসময় ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে ছটফট করতে দেখেন সজিবের বড় বোন। পরে তাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কেয়ার বাবা ফসিয়ার রহমান মোল্যার অভিযোগ, কেয়া মারা যাওয়ার পর তার শশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। তার মৃত্যুর খবরও আমাদের জানায়নি।
তিনি আরও বলেন, জামাই বিদেশে থাকার কারণে তার মেয়েকে মানসিক নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার দিন কী হয়েছে জানি না, তবে ধারণা করছি নির্যাতনের পর তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।।
তবে কেয়ার শশুরবাড়ির লোকজন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সজিবের বড় বোন জাহানারা বেগম বলেন, কেয়ার সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ ছিল না। তবে আমাদের ধারণা, সজিবের সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়ার জেরে কেয়া আত্মহত্যা করেছে।
হাসপাতালে কেয়ার লাশ ফেলে রেখে পালানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন সজিবের বড় ভাই খায়রুল।
মোবাইল ফোনে দুবাই প্রবাসী স্বামী সজিব জানান, তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর বাড়ি থেকে তাকে জানানো হয়নি। তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছেন। তবে তার স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো বিরোধ ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।
মহম্মপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী আবু আহসান যুগান্তরকে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই গৃহবধূ কেয়ার মৃত্যু হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি তারেক বিশ্বাস যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন