নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস পালন করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এরপর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে শরীক হন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রাজধানীর মতিঝিলস্থ যুব ভবনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি এবং জাতির পিতার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন নিয়ে এক বিশেষ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতারউজ্জামান কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব সচিব জনাব মো. আখতার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনওই মাথা নত করেননি। নানা ধরনের জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। তিনি সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস।’
এ সময়ে প্রতিমন্ত্রী যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক দিনব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সারাদেশের যুব উদ্যোক্তাদের মধ্যে ২৫ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার যুব ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক গরীব অসহায়দের মধ্যে বিনামূল্য ৬০ হাজার মাস্ক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন