দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার কাপ্তাই লেকে তিন মাস দশ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার মধ্যরাত থেকে আবার মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছেন জেলে, শ্রমিক-কমচারী, ব্যবসায়ীসহ সকলেই। চালু হয়েছে বিএফডিসির তিনটি বরফকলও। প্রথমদিনই ১৯৩টন মাছ আহরণে, রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪লক্ষ ৬২হাজার টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ১১লাখ ৬০ হাজার টাকা বেশি।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণনকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গত বছর মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার প্রথম দিনে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২৩ লাখ ২ হাজার টাকা। আর এই বছর প্রথমদিনে তা দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা। গত বছর প্রথম দিনে বিএফডিসির তিনটি (রাঙ্গামাটিম কাপ্তাই ও মহালছড়ি) বিপণনকেন্দ্রে জেলেরা হ্রদ থেকে আহরিত মাছ আনে ১২৮টন আর যা এই বছর দাঁড়িয়েছে ১৯৩ টনে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতিবছরই কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরাসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিনমাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এবছর তাই দেয়া হয়েছে। তবে হ্রদে পানি কম থাকায় আমরা পানির অপেক্ষায় ১০ দিন পর আহরণ চালু করেছি।
তিনি জানান,এই বছর গত বছর প্রথমদিনের চেয়ে বেশি মাছ আহরিত হয়েছে। যার কারণে এই বছর বেশি রাজস্বও আদায় হয়েছে। এই বছর প্রথমদিনেই আমাদের কাছে মাছ এসেছে ১৯৩ টন। চলতি বছরে গত বছরের চেয়ে বেশি মাছ আহরিত হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য: ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কাপ্তাই হ্রদ হতে ১২ হাজার ৬৯৫ টন মাছ আহরিত হয়েছে। এর বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এছাড়া এই বছর আমরা কাপ্তাই হ্রদে ৪৩ টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করেছি। যা বিগত সময়ের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন