লেখাপড়া, চাকরি, বেকারের কর্মসংস্থান, নদীভাঙনসহ দুর্যোগে সর্বস্বান্তের আশ্রয়- মোটের ওপর সারা দেশের মানুষের কাছে আশার প্রদীপ হয়ে ছিল যে শহর, সেই রাজধানী ঢাকা এখন দিচ্ছে উল্টো বার্তা।
করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে চাকরি, ব্যবসাসহ আয়ের পথ হারিয়ে এখন তল্পিতল্পা গুটিয়ে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছেন অগুনতি মানুষ। বড় সাধের আশ্রয়টুকু আর ধরে রাখতে পারছেন না তারা।
সেই সঙ্গে বদলে যাচ্ছে তাদের পুরো জীবনচিত্র, ঢাকার ভালো স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েগুলোকে চলে যেতে হচ্ছে সম্পূর্ণ অপরিচিত এক জীবন বাস্তবতায়।
আর একটু ভালো থাকার অবিরাম সেই স্বপ্ন আর সংগ্রামে ইতি টানতে বাধ্য হচ্ছেন প্রধানত স্বল্প আয়ের মানুষগুলোই, যাদের সঞ্চয় বলেও তেমন কিছু ছিল না।
এদেরই একজন সোহেল হাসান স্ত্রী তামান্নাকে নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডে ছোট্ট দুই কামরার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। দুজনেই চাকরি করতেন দুটি কোম্পানিতে। নানা ধরনের টানাপড়েনেও দুইজন চালিয়ে নিচ্ছিলেন তাদের ছোট সংসার। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দুজনই হারিয়েছেন তাদের চাকরি।
মহামারীকালে সঙ্কটে পড়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়েছেন। তাই ঢাকায় এখন বাড়ি ভাড়ার বিজ্ঞাপন বেশি। ঢাকার গুলবাগের প্রবেশমুখে রাস্তার দুই ধার এখন যেন বিজ্ঞাপনের দেয়াল। ছবি: মাহমুদ জামান অভিমহামারীকালে সঙ্কটে পড়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়েছেন। তাই ঢাকায় এখন বাড়ি ভাড়ার বিজ্ঞাপন বেশি। ঢাকার গুলবাগের প্রবেশমুখে রাস্তার দুই ধার এখন যেন বিজ্ঞাপনের দেয়াল। ছবি: মাহমুদ জামান অভিএখন ঢাকা ছেড়ে গ্রামে ফেরার প্রস্তুতিতে থাকা সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন তার অসহায়ত্বের কথা।
“যদি আমাদের দুইজনের মধ্যে একজনের চাকরিটাও থাকত, তাহলে কষ্ট হলেও ঢাকায় থাকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমরা নিরুপায়। সামনের অগাস্ট মাস থেকে বাসাটা ছেড়ে দিচ্ছি। চলে যাচ্ছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্রামের বাড়িতে।”
তাদের মতো জীবিকার তাগিদে বা লেখাপড়ার কারণে ঢাকায় বসবাস করছিলেন এমন অনেকেই এই পরিস্থিতিতে পড়েছেন বিপত্তিতে। অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় ঢাকা ছেড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। যারা নিজেদের থাকা-খাওয়ার খরচ চালানোর জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্র পড়াতেন, এই সময়ে তারাও হারিয়েছেন আয়ের সেই উপায়টুকু। ফলে তারা মেস ছেড়ে দিচ্ছেন অথবা আগের চেয়ে কম খরচে থাকার জন্য বাসা-মেস বদলাচ্ছেন।
ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আহম্মেদ আয়েশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লেখাপড়ার পাশাপাশি চারটা টিউশনি করতাম। এতে করে নিজের থাকা আর খাওয়ার খরচটা চলে যেত, কিন্তু এই লকডাউনে চারটা টিউশনিই চলে গেছে।
“তাই ঢাকায় থাকার খরচ বহন করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিলাম। মেসের মালিক ভাড়া কিছুটা কমালেও ভার্সিটি বন্ধ থাকায় মেস ছেড়ে দিয়েছি। কারণ ঢাকার বাইরে থেকে মাসের পর মাস মেস ভাড়া দেওয়া সম্ভব না।”
মহামারীকালে খরচ বাড়লেও আয় কমেছে। তাই কম ভাড়ার বাসায় স্থানান্তর হচ্ছেন। ছবি: মাহমুদ জামান অভিমহামারীকালে খরচ বাড়লেও আয় কমেছে। তাই কম ভাড়ার বাসায় স্থানান্তর হচ্ছেন। ছবি: মাহমুদ জামান অভিমহামারীর মধ্যে অনেক জায়গায় ভাড়াটিয়ার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছেন বাড়ির মালিকরা। ভাড়া ঠিকমতো দিতে না পারায় বাসা থেকে বের করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি ঢাকার দুটি এলাকায় মেস করে থাকা বেশ কয়েকজন ছাত্রের ভাড়া বকেয়া থাকায় বাড়ির মালিক তাদের মালপত্র নষ্ট করেছেন, সার্টিফিকেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছেন ময়লার ভাগাড়ে। এ নিয়ে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে।
এই সময়ে বাড়িওয়ালার তোপের মুখে পড়েছেন লালমাটিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার। কিছু দিন আগে লেখাপড়া শেষ করে বর্তমানে চাকরি পাওয়ার চেষ্টায় আছেন তিনি।
খাদিজা গত সাত বছর ধরে ধানমণ্ডি শংকরে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। খরচ কমাতে আরও তিনজনকে অংশীদার করে থাকতেন তিনি। লকডাউনের কারণে অন্যরা বাসা ছেড়ে দেওয়ায় অন্যান্য বিলসহ বাসা ভাড়ার পুরোটাই গুণতে হচ্ছে তাকে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক মাসের বাসা ভাড়া কমানোর জন্য বাড়ির মালিকের কাছে অনুরোধ জানান খাদিজা। এরপর থেকেই প্রবাসী মালিকের ম্যানেজার এবং বাড়ির কেয়ারটেকারের নানা ধরনের হুমকি-ধমকির শিকার হতে হচ্ছে তাকে।
আক্ষেপ করে খাদিজা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই মহামারীতে মানুষ মানুষের পাশে থাকবে, একে অন্যকে সাহায্য করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভাড়া কমানোর অনুরোধ করার পর থেকে আমাকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় বাসা ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়াটাও আমার পক্ষে সম্ভব না।”
বেকায়দায় বাড়ির মালিকরাও
এই সংকটে সমস্যায় পড়েছেন বাড়ির মালিকরাও। ঢাকা শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেল বহু ফ্ল্যাট খালি। অসংখ্য বাড়ির ফটকে ঝুলছে ‘টু-লেট’। গলির মোড়গুলোর দেওয়াল ছেঁয়ে গেছে ‘বাসা ভাড়া দেয়া হবে’, ‘ফ্ল্যাট ভাড়া হবে’, ‘ব্যাচেলর/চাকুরিজীবী/শিক্ষার্থী/ফ্যামিলি বাসা ভাড়া হবে’- এসব বিজ্ঞাপনে।
মহামারীকালে খরচ বাড়লেও আয় কমেছে। তাই কম ভাড়ার বাসায় স্থানান্তর হচ্ছেন। ছবি: মাহমুদ জামান অভিমহামারীকালে খরচ বাড়লেও আয় কমেছে। তাই কম ভাড়ার বাসায় স্থানান্তর হচ্ছেন। ছবি: মাহমুদ জামান অভিকোনো কোনো বিজ্ঞাপনে আবার এক মাসের নাম কেটে পরের মাসের নাম কিংবা সেই মাসের নাম কেটে তার পরের মাসের নাম লিখে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এই সব বাসা খালি পড়ে আছে টানা দুই-তিন মাস ধরে।
বাসা খালি থাকায় বাড়ি ভাড়ার ওপর নির্ভর করে সংসার চালানো অনেক বাড়ির মালিকই এখন হয়ে পড়েছেন দিশেহারা।
টানা তিন মাস ধরেও কারও কারও বাড়ি খালি পড়ে আছে, পাচ্ছেন না ভাড়াটিয়া। এলাকায় ‘টু-লেট’ টাঙিয়ে, বাড়িভাড়া সংক্রান্ত ফেইসবুকে খোলা বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিয়েও ফল পাচ্ছেন না অনেকেই। তারা বাধ্য হয়েই বাসাভাড়া কমিয়ে দিচ্ছেন। অগ্রিম ভাড়াও মওকুফ করে দিচ্ছেন কেউ কেউ। অপরদিকে মাসের পর মাস দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের বিল।
আজিমপুরের বাসিন্দা নিপু সরকার থাকেন একান্নবর্তী পরিবারে। সাত তলা একটি বাড়িতে প্রত্যেক ভাইয়ের দুটি করে ফ্ল্যাট বরাদ্দ রয়েছে। তিনি একটিতে থাকেন, আরেকটি ভাড়া দিয়ে সংসার চালান। পাশাপাশি একটা ছোটোখাটো ব্যবসা করেন। লকডাউনে ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তার। জুন মাস থেকে বাসাও খালি পড়ে আছে।
নিপু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত দুই মাস যাবত বিজ্ঞাপন দিয়েও ভাড়াটিয়া পাচ্ছি না। ভাড়ার টাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খেয়ে-পরে থাকতে পারতাম। ব্যবসাটাও বন্ধ। এখন পুরোই বেকার অবস্থায় ঘরে বসে আছি।”
আবার সংকটের এই চার মাস ভাড়া না দেওয়ার পরেও বহু ভাড়াটিয়াকে থাকতে দিয়েছেন অনেক বাড়িওয়ালা।
এদের একজন মিরপুর মাজার রোডের বাসিন্দা মুন্নী আক্তার নিম্ন আয়ের ১৮টি পরিবারকে ভাড়া দিয়েছেন তার বাড়িতে। লকডাউনে ১৫টি পরিবার আয়- উপার্জন না থাকার কারণে গত তিন মাস, কেউ কেউ চার মাস ভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি।
মুন্নী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই কঠিন সময়ে সবাই-ই আমরা বিপদে আছি। আমার স্বামী নাই, উপার্জনক্ষম আর কেউ নাই আমার পরিবারে। এই ঘরগুলো ভাড়া দিয়ে আমি সংসার চালাই। চার মাস যাবত ভাড়া না পাওয়ার কারণে আমি মহাবিপদে পড়ে গেছি।
“এক ভাড়াটিয়ার কাছে গয়না বন্ধক রেখেও আমি সংসার চালিয়েছি। কিন্তু মানুষই বিপদে মানুষের পাশে থাকে, আমি বাড়িছাড়া করতে পারি না কাউকেই।”
মহামারীকালে সঙ্কটে পড়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়েছেন। তাই ঢাকায় এখন বাড়ি ভাড়ার বিজ্ঞাপন বেশি। ঢাকার গুলবাগের প্রবেশমুখে রাস্তার দুই ধার এখন যেন বিজ্ঞাপনের দেয়াল। ছবি: মাহমুদ জামান অভিমহামারীকালে সঙ্কটে পড়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়েছেন। তাই ঢাকায় এখন বাড়ি ভাড়ার বিজ্ঞাপন বেশি। ঢাকার গুলবাগের প্রবেশমুখে রাস্তার দুই ধার এখন যেন বিজ্ঞাপনের দেয়াল। ছবি: মাহমুদ জামান অভিএকই এলাকার মমতাজ বেগমের পাঁচটি ঘর ভাড়া নিয়েছেন তৈরি পোশাক কারখানার কর্মীরা। মহামারীতে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তারাও তল্পিতল্পা গুটিয়ে গ্রামের পথ ধরেছেন। ফলে বিভিন্ন বিল পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মমতাজ বেগম।
মাজার রোডেরই আরেক বাসিন্দা তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতি মাসে যেখানে ইউটিলিটি বিল দেই পাঁচ থেকে ছয় হাজার, ঊর্ধ্বে গেলে আট হাজার, সেখানে এই মাসে ইউটিলিটি বিল দিতে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ- ১৫ হাজারের কাছাকাছি। এই সমস্যার কথাগুলো কাকে বলব ভেবে পাই না।”
মিরপুরে প্রায় ৪০টি বাড়ির মালিকদের নিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠন ‘বর্ধনবাড়ি বহুমুখী মালিক সমবায় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই সংগঠনের সদস্য বাড়ির মালিকরা মোটামুটি বাড়ি ভাড়া দিয়েই সংসার চালায়। করোনা পরিস্থিতিতে ভাড়াটিয়া হারিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু মাস শেষে তাদের গ্যাস, কারেন্ট, পানি এই সব আনুষঙ্গিক বিল মেটাতে হচ্ছে। আগের চেয়ে বিলও এখন অজানা কারণে বেশি আসছে।
“সরকার যদি এই ব্যাপারে দৃষ্টি না দেয় তাহলে আমাদের এই দুর্ভোগ শেষ হবে না।”
সরকারের পদক্ষেপ প্রত্যাশা
নজিরবিহীন এই সংকটে বিপর্যস্ত নাগরিক জীবনে বাড়ি ভাড়া সহনশীল করতে সরকারের পদক্ষেপ চেয়ে কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। তবে তাতে কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন ভাড়াটিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকায় বসবাসকারীদের ৯০ শতাংশই ভাড়া বাসায় থাকেন, বাকি ১০ শতাংশ বাড়ির মালিক। এই ভাড়াটিয়াদের ‘একটি বড় অংশই’ সমস্যায় পড়েছেন।
“লকডাউনে অনেক ভাড়াটিয়াই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনেকের বেতন কমে অর্ধেক পর্যন্ত হয়ে গেছে। তারা নিজেরা খাবার খরচই বহন করতে পারছেন না, বাসা ভাড়া দেবেন কীভাবে?
“এই সংকটের সময়েও অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াদের বাসা থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করছেন, যেটি খুবই অমানবিক।”
ঘরের যা ছিল তা পিকআপে চাপিয়ে ঢাকা ছেড়ে ফিরছে বাড়ির পথে। করোনাভাইরাস মহামারীকালে জীবিকা সঙ্কটে পড়ায় এখন অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। ছবি: মাহমুদ জামান অভিঘরের যা ছিল তা পিকআপে চাপিয়ে ঢাকা ছেড়ে ফিরছে বাড়ির পথে। করোনাভাইরাস মহামারীকালে জীবিকা সঙ্কটে পড়ায় এখন অনেকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। ছবি: মাহমুদ জামান অভিবাহার বলেন, “এই সময়ে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যেন নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্তদের জন্য বাড়িওয়ালারা এপ্রিল, মে ও জুন মাসের বাড়িভাড়া ও ইউটিলিটি বিল মওকুফ করে দেন।
“অনেক আন্দোলন করেও সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আমরা তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি।”
বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যকার সমস্যা এড়াতে ১৯৯১ সালে ‘বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন’ চালু করা হয়। এটাকে সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য করতে ঢাকা মহানগরীকে দশটি রাজস্ব অঞ্চলে ভাগ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক সম্ভাব্য বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছিল ঢাকা সিটি করপোরেশন। তবে বাসার চাহিদা বিপুল হওয়ায় ওই ভাড়ার কয়েক গুণ করে নিচ্ছেন বাড়িওয়ালারা।
এখন এই সংকটকালে বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়া সঙ্কট দূর করতে সিটি করপোরেশন কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হকের কাছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাড়ি ভাড়া কম নেওয়া বা মওকুফ করার বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশন তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আইনগতভাবেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমরা অনিচ্ছুক নই।
“পশ্চিমা দেশগুলোতে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত আইনের আওতায় কোনো মামলা হলে সেই মামলার রায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাড়াটিয়ার পক্ষে যায়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে চিত্রটি বিপরীত।”
সিটি করপোরেশন কর্মকর্তা ইমদাদুল বলেন, “অনেক মালিকই আয়ের ক্ষেত্রে বাড়ি ভাড়ার ওপর নির্ভরশীল। তাই আমরা এই সময়ে বিভিন্ন দোকানের লাইসেন্স ফি, দোকান ভাড়া, হোল্ডিং ট্যাক্সের ওপর জরিমানা- এই সব বিষয় শিথিল করেছি।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন