করোনাভাইরাসের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়ে সহোদর ভাই-বোনের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ, এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েও কোন প্রতিকার পাননি তিনি। নির্যাতন করে উল্টো তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ আখ্যা দিয়ে ভাই-বোনেরা স্থানীয় একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর গ্রামের বাড়ি ফেনীতে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন যাবত নিয়মিত নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তিনি। তার বড় দুই ভাই মিলে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস ও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে ও তার মা-বাবাকে অজ্ঞান করে রাখে। নির্যাতনের কোন তথ্য যাতে কেউ পেতে না পারে এজন্য কেড়ে নেওয়া হয় তার মোবাইল ফোনও। মুছে ফেলা (ডিলেট) হয় তার ফোনে থাকা সবকিছু, আর ভেঙে ফেলা হয় তার মেমোরি কার্ডও।
তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, তার অন্য ভাই-বোনরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। পরিবারের সবার ছোট হওয়ায় তাকে নিয়ে খুব গর্ব ও আশা তার মা-বাবার। আর ঠিক এই কারণেই ভাই-বোনদের হিংসার চোখে পড়েন তিনি। বাবা-মায়ের আদরের হওয়ায় তারা সম্পত্তি লিখে দিবেন তাকে, এ আশংকা থেকেই সম্প্রতি তার ক্যারিয়ার ধ্বংসের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে তার নিজ সহোদররা।
শুধু নির্যাতন করেনি, ভাই-বোনেরা তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ আখ্যা দিয়ে ফেনীর স্থানীয় সাইকিয়াট্রি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে রাখেন, জানান ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়টি আমি শুনেছি। যেখানে করোনাকালীন পৃথিবী ধীরে ধীরে মানবিক হয়ে উঠছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে পরিবারের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশে সব সময় থাকবো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে বিশ্বাস করি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন