পণ্য পরিবহনের প্রয়োজনে ভারত চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার শুরু করেছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে পণ্য পরিবহনের ‘ট্রায়াল রান’ হিসেবে বৃহস্পতিবার কলকাতা বন্দর থেকে ‘এমভি সেঁজুতি’ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ে এক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানান। সেন্টার ফর বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া রিলেশনস (সিবিআইআর) বুধবার এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, চারটি কনটেইনার নিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো ভারতীয় জাহাজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। সেখান থেকে এসব পণ্য আখাউড়া হয়ে আগরতলায় যাবে। তবে এটি পরীক্ষামূলক, যার মধ্য দিয়ে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটবে।
ডাল ও লোহা নিয়ে ওই জাহাজ বুধবার কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ভারতের নৌপরিবহনমন্ত্রী মানসুখ মানদাভিয়া এর উদ্বোধন করেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের সচিব পর্যায়ে চুক্তি হয়। এক বছর পর ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে এ সংক্রান্ত পরিচালন পদ্ধতির মান বা এসওপি সই হয়। নানা জটিলতা শেষে দেড় বছরের বেশি সময় পর ভারতীয় পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
ভারতীয় পণ্য ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাত ধরনের মাশুল আদায় করবে। এই সাতটি হলো প্রতি চালানের প্রসেসিং ফি ৩০ টাকা, প্রতি টনের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট ফি ৩০ টাকা, নিরাপত্তা মাশুল ১০০ টাকা, এসকর্ট মাশুল ৫০ টাকা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক মাশুল ১০০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কনটেইনার স্ক্যানিং ফি ২৫৪ টাকা এবং বিধি অনুযায়ী ইলেকট্রিক সিলের মাশুল প্রযোজ্য হবে। এই নির্ধারিত সাতটি মাশুল বাবদ বাংলাদেশ কনটেইনারপ্রতি ৪৮-৫৫ ডলার পাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন