প্রমোদ চক্রবর্তী এসএসসি পাস। কিন্তু নিজেকে পরিচয় দিতেন এমবিবিএস ডাক্তার হিসাবে। দীর্ঘ প্রায় দশ বছর প্রতারণা করার পর অবশেষে ধরা পড়েছেন। জরিমানা দিতে হয়েছে দুই লাখ টাকা। মুচলেকা দিয়ে অঙ্গীকার করেছেন আর কোনোদিন প্রতারণা করবেন না।
প্রতারণার শিকার রানা হোসেন নামে এক ব্যক্তি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে। তদন্ত ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার নামধারী ডাক্তার প্রমোদ চক্রবর্তীকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন এর ৪৪ ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
জানা গেছে, প্রমোদ চক্রবর্তী তার ভিজিটিং কার্ড ও ব্যবস্থাপত্রে নিজেকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার এবং মা ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিতেন। মানিকগঞ্জের সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিংগাইরের দুটি ফার্মেসি এবং সাভার আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত রোগী দেখতেন। স্থানভেদে ৩০০-১০০০ টাকা ভিজিট নিতেন। প্রয়োজনে অস্ত্রপচারও করতেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামানা রুমেল। তিনি বলেন, তদন্তে প্রমাণ হয়েছে প্রমোদ চক্রবর্তী ডাক্তারের নামে একজন প্রতারক। তিনি নিজেও প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন