যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ৩০ মণ ওজনের ‘বাংলার টাইগারের’ দাম হাঁকা হচ্ছে ১০ লাখ টাকা। উপজেলার সরখোলা-ধোপাদি গ্রামের মাঝ এলাকায় অবস্থিত দারুল আসাদ খামারবাড়িতে ‘বাংলার টাইগারকে’ একনজর দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরন্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দারুল আসাদ খামারবাড়ির উদ্যোক্তা মো. আসাদুর রহমান যুগান্তরকে জানান, সাড়ে তিন থেকে চার বছর ধরে খামারে ‘বাংলার টাইগারকে' অতিযত্নে লালন-পালন করেছেন তিনি। গরুটির ওজন ৩০ মণ হবে। তার দাঁতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়টিতে। ওই খামারের সবচেয়ে বড় গরু হলো ‘বাংলার টাইগার'। এ বছরের কোরবানি ঈদে করোনা মহামারীর মধ্যেও ‘বাংলার টাইগারকে' ১০ লাখ টাকা মূল্যে বিক্রি করতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, তার এই খামারে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত কোরবানির গরু রয়েছে আরও ১৬টি। তা ছাড়া ঈদে গরুগুলো কিনতে চাইলে ০১৭১১-৩৭৫৪৯৮ নম্বর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন খামারে গিয়ে দেখা যায়, খামারের সবচেয়ে বড় গরু ‘বাংলার টাইগারকে' খামার থেকে ওঠানে নামাতে গিয়ে ৪-৫ লোক হিমশিম খাচ্ছেন।
গরুটিকে দেখতে আসা মোশাররফ আলম বলেন, এত বড় গরু সাধারণত হাটে দেখতে পাওয়া যায় না। তাই ‘বাংলার টাইগারের' খবর শুনে তিনি গরুটিকে দেখতে এসেছেন।
ধোপাদি গ্রামের বাসিন্দা, নওয়াপাড়া গরুহাটের ইজারাদার আকতার হোসেন জানান, মহামারী করোনায় এবারের কোরবানির ঈদে গরুর বাজার মন্দা হলেও আসাদ খামারবাড়ির ‘বাংলার টাইগার' চড়া মূল্যে বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন