বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মামুন আল মাহতাব আরো বলেন, কোরবানির আগে মানুষের অনেক মুভমেন্ট হবে। এ সময়ে গরুর হাটে আসা-যাওয়া হবে, যা হবে রোজার ঈদের চেয়েও বেশি।
ঈদের ১৫ দিন পর থেকে সংক্রমণ অনেক বাড়বে। বছরের শেষ দিকে হয়তো কিছুটা কমে আসবে।
আমরা কি এখন সংক্রমণের চূড়ায় আছি, নাকি কোরবানির পর আসবে তা কোনোদিনই বুঝতে পারবো না আমরা!
দৈনিক কয়েক লাখ টেস্ট করা গেলে একটা পর্যায়ে দেখা যেতো, প্রতিদিন হাজার হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তখন হয়তো আমরা দেখতাম, তিন হাজার শনাক্ত থেকে হাজার হাজারে উঠে, আবার তা থেকে ৩ হাজারে নেমে এসেছে। কিন্তু সেটা কোনোদিনই হবে না। সংক্রমণের চূড়ায় উঠলে যেমন তিন হাজার দেখবো, না উঠলেও তিন হাজারই থাকবে। সংক্রমণ পিক চলে গেলেও তিন হাজার শনাক্ত হতে দেখবো।
সংক্রমণের চূড়া বোঝা খুব জরুরি কিছু নয়। বুঝতে হবে একটা বড় সংকটের মধ্যে আমরা আছি, সংকটের সমাধান হচ্ছে না। কীভাবে তা কমিয়ে আনা যায়, যথার্থ কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।
বাংলাদেশ-ভারত বৃহৎ জনসংখ্যার দেশ। এই বৃহৎ জনসংখ্যার দেশে নেপাল-ভুটানের মতো প্রতি লাখ জনসংখ্যার হিসাবে অতো পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। এমনকি জাপানও পারেনি।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভেন্টিলেটর কোভিড-১৯ মহামারি সংকটের সমাধান নয়। মানুষের সচেতনতা ছাড়া কোভিড-১৯ সংকট সমাধানের কোনো পথ খোলা নেই।
মানুষ বোঝেনি কোভিড-১৯ একটা জাতীয় সংকট। কারণ যারা মিডিয়ায় কথা বলছি, বিষয়টিকে তারা এমনভাবে গুলিয়ে ফেলেছেন, মানুষের কাছে মনে হয়েছে, এটা আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংকট চলছে!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন