'মানুষ বকা দেয়। খারাপ আচরণ করে। কিন্তু কি করবো পেটের দায়ে যেতে হয়। না গেলে খাবো কি? বাঁচার তো কোন উপায় নেই। করোনা সব কিছু খাইয়া ফালাইছে।' দুঃখ করে কথাগুলো বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় গৃহসামগ্রী বিক্রেতা হকার রবিউল হুসাইন (২৭)।
করোনা সংক্রমণের কারণে অন্য পেশার মানুষের মতো ক্ষুদ্র পেশাজীবি হকাররাও অনিশ্চিত সময় পার করছেন। হকার রবিউল হুসাইনের বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার কালীগঞ্জ থানার নামাটুলা গ্রামে। ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর শহরের মহিলা কলেজ এলাকায় বাস করে গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে নিত্য প্রয়োজনীয় গৃহসামগ্রী বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
জানা যায়, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার দুই থেকে তিন শতাধিক হকার দীর্ঘদিন যাবত পৌর শহরের বিশ্বরোড এলাকা, শিলাসী আউটার সিগনাল, মহিলা কলেজ, ইমাম বাড়ি ও কান্দিপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাস করেন। তাঁরা গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে নিত্য প্রয়োজনীয় গৃহসামগ্রী বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের অনেকেই ৬-৭ বছর যাবত এই এলাকায় হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে মাঝে মধ্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। তখন বাধ্য হয়ে কিছু দিনের জন্য নিজ এলাকায় ফিরে যেতে হয়।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই ক্ষুদ্র পেশাজীবি হকাররা চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। আতঙ্কময় পরিস্থিতিতে পণ্যসামগ্রী নিয়ে গ্রামে বা পাড়া মহল্লায় গেলে করোনা সংক্রমণ ভয়ে অনেকেই তাদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দেন। অকেকেই বাজে আচরণ করেন।
আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক গোলাম মোহাম্মদ ফারুকী বলেন, বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস সকল পেশার মানুষকেই বিপাকে ফেলেছে। মানুষের বিশ্বাস, আস্থা, সামাজিক বন্ধন, মানবিকতা সব কিছুই ধ্বংস কর দিয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন