‘রাস্তার ছবি তুলে কী করবেন ভাই? অনেকে রাস্তার ছবি তুলেছে, মাপ দিয়েছে কিন্তু রাস্তার কাজ হয়নি। যে কোনো ভোট এলেই রাস্তার কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু রাস্তার কাজ আর শুরু হয় না। এ পর্যন্ত অনেক জনপ্রতিনিধি রাস্তাটি করার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে সেটা আর হয়নি। দুর্ভোগ নিয়েই আমাদের চলাচল করতে হয়।’
কথাগুলো বলছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সানবান্দা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক কবির হোসেন।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ৪/৫বার রাস্তাটির মাপ নেয়া হয়েছে কিন্তু রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। বৃষ্টির সময় গ্রামের শিক্ষার্থীরা কাঁধে সাইকেল নিয়ে পাকা রাস্তা পর্যন্ত যায়। এ ছাড়াও গ্রামের মানুষের নানা রকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ পর্যন্ত তিনজন সংসদ সদস্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু এখনও রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। নতুন রাস্তার কাজ এ জীবনে দেখে যেতে পারব কিনা সন্দেহ আছে।
সরেজমিন সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তাজুড়েই কাদা। একদমই চলাচলের অনুপযোগী। বাইসাইকেল নিয়েও হেঁটে যেতে হয়। আর অন্য কোনো যানবাহন চালিয়ে যাওয়ার কোনো অবস্থা নেই এ সড়কে। এ সড়ক দিয়ে প্রায় দুটি গ্রামের ৪ হাজার মানুষের যাতায়াত। কালীগঞ্জ শহরে বা বিভিন্ন স্থানে যেতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
সানবান্দা গ্রামের ইকবাল হোসেন নামে একজন জানান, বৃষ্টির সময় খুব কষ্ট করে এ দুই গ্রামের মানুষের চলাচল করতে হয়। আমাদের এই কষ্ট লাঘবে কোনো জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসেননি। বৃষ্টির সময় কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে খুব কষ্ট হয়। এ ছাড়াও এ দুই গ্রামের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির সময় স্কুলেও ঠিকমতো যেতে পারে না।
এ ব্যাপারে উপজেলার ১১নং রাখালগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মন্টু জানান, সানবান্দা-হাসানহাটি সড়কের কোনো আইডি ছিল না। এবার ওই রাস্তার আইডি হয়েছে। নতুন ১০টি প্রকল্পের তালিকার মধ্যে ওই রাস্তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে টেন্ডার হয়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন