শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও-আহমদনগর রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী শতশত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও বাজার থেকে সদর ইউনিয়নের আহমদনগর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি উঠে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে।
এছাড়া বনগাঁও পূর্ব পাড়া তহিজ মন্ডলের বাড়ি থেকে নয়াপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার একই অবস্থা। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার শতশত পথচারী যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার, সম্প্রসারণ ও পাকাকরণের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
গোরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ, ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলামসহ গ্রামবাসীরা জানান, এ পথে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেটে চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে যেমন তেমন, বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। উৎপাদিত কৃষি পণ্য সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারছেন না কৃষকরা। গবাদী পশু নিয়েও হতে হচ্ছে বিড়ম্বনার শিকার।
চতল গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব মন্ডল, সাবেক ইউপি সদস্য চাঁন মিয়াসহ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি ওঠে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই। নির্বাচনের সময় রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে তারা ভোট নেন। কিন্তু নির্বাচনের পর কেউ আর তাদরে খোঁজ খবর নেন না।
ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন ও গৌরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টু জানান, রাস্তাটি পাকাকরণের বিষয়ে উপজেলা উন্নয়ন সমন্নয় কমিটির সভায় বহুবার আলোচনা হয়েছে। আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও বাস্তবায়িত হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই নির্মাণ করা হবে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন