লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামালের (৫৫) জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২ জুন) কামালকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ভাটারা থানা পুলিশ।এসময় তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনের করা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল ইসলাম। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়াল নোমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার মুন্সি জামান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (১ জুন) রাতে র্যাব বাদী হয়ে ভাটারা থানায় পাসপোর্ট আইনের ১১(৩) ধারায় মামলাটি করে। ভাটারা থানার পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মুক্তার উজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় কামালের কাছে অবৈধ ৩১টি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।তাই র্যাব বাদী হয়ে পাসপোর্ট আইনে মামলা করে।
উল্লেখ্য, অবৈধভাবে ইউরোপে প্রেরণকালে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে গত ২৮ মে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ২৬ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এছাড়া ১১ বাংলাদেশি মারাত্মকভাবে আহত হন। ওই ঘটনা দেশ বিদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। তদন্তে উঠে আসে এই হাজী কামালের নাম। এরপর সোমবার (১ জুন) ভোরে র্যাব-৩ এর একটি দল গুলশান থানাধীন শাহজাদপুরের বরইতলা বাজার খিলবাড়ীরটেক এলাকা থেকে হাজী কামালকে (৫৫) গ্রেফতার করে। তিনি কুষ্টিয়া জেলা সদরের জামাত আলী মন্ডলের ছেলে।
শুধু লিবিয়া নয়, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও অবৈধ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক পাঠিয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন