বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ, সেদিন ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।তারপর বিরতী ছিল। ১৫ মার্চ ২ জন, ১৬ মার্চ ৩ জন, ১৭ মার্চ ২ জন, ১৮ মার্চ ৪ জন, ১৯ মার্চ ৩ জন, ২০ মার্চ ৩ জন, ২১ মার্চ ৪ জন, ২২ মার্চ ৩ জন, ২৩-২৪-২৫-২৬ মার্চ ৬ জন করে, ২৭ মার্চ ৪ জন, ৩০ মার্চ ১, ৩১ মার্চ ২, ১ এপ্রিল ৩, ২ এপ্রিল ২, ৩ এপ্রিল ৫, ৪ এপ্রিল ৯ জন। এইটুকু ছিল প্রথম ধাপ। তারপর ৫ তারিখ থেকে এটা উল্লম্ফন হয়েছে।
৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এক অঙ্কের কোঠায় ছিলো আমাদের রোগীর সংখ্যা।৫ তারিখ থেকে এখন প্রতিদিন দুই অঙ্কের কোঠায় যাচ্ছে। এখন তিন অঙ্কের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ধাপে পৌঁছে গেছে।চতুর্থ ধাপ মানে যকন ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে। প্রথম ধাপ যে দেশে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয় না। দ্বিতীয় ধাপ হলো সীমিত, তৃতীয় ধাপ হলো শুধুমাত্র বিভিষীকার আভাস। চতুর্থ ধাপে চারদিকে ছড়িয়ে গেছে।
প্রথম দুই সপ্তাহ চিল সহনীয়, সেসময় পরীক্ষাও কম হয়েছে।এখন যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে তাহলে আগামী সপ্তাহেই প্রতিদিনের করোনা আক্রান্ত ৩ অঙ্কের কোটায় পৌঁছে যাবে।যে অভিজ্ঞতা আমরা ইউরোপ , আমেরিকার ক্ষেত্রে পেয়েছি। খুব দ্রুতই বাংলাদেশ মহামারিতে প্রবেশ করবে। যদি রক্তের পরীক্ষা বাড়াই, তাহলে বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র প্রতিনিয়ত খারাপই হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন