বরিশালে করোনা নিয়ে মসজিদের মাইকে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব সৃষ্টির দায়ে মসজিদের ইমাম ও শিক্ষকসহ ৬ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানার অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে এক মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দেন আদালত।
বুধবার দুপুরে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের সংক্ষিপ্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দণ্ড ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- গৌরনদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, বার্থী কলেজের শিক্ষক সালমা আক্তার, বানিয়াছড়ি মসজিদের ইমাম আব্দুল কাদের, উত্তর বিজয়পুর মসজিদের ইমাম হাসান আল-মামুন, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সিরাজুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা দিপালী দেবনাথ।
এদের মধ্যে ২ ইমাম ও অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্টকে মসজিদের মাইকে করোনা সম্পর্কে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে এবং অপর ৩ জনকে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আটক করা হয়। পরে তাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত মসজিদের ২ ইমাম ও ২ শিক্ষকসহ ৬ জনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদের প্রত্যেককে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
পুলিশ জানানয়, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পর আটককৃতরা মাইকিং করে এবং ফেসবুকে করোনা সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি চেষ্টা করে। মসজিদের মাইকে এবং ফেসবুকে তারা উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যাবেন না। করোনা ভাইরাস নির্মূলে হেলিকপ্টারযোগে স্প্রে করা হবে। এই সময়ে ঘরের বাইরে কোন কাপড়-চোপড় থাকলে তাও দ্রুত ঘরে নিয়ে যান। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এলে ওই রাতেই অভিযানে নামেন তারা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৬জনকে আটক করা হয়।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, গৌরনদী উপজেলায় করোনা নিয়ে গুজব সৃষ্টি করেছে মসজিদের ইমাম ও শিক্ষকরা। তাদের পুলিশ আটক করেছে। গুজব সৃষ্টির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দণ্ড দেওয়া হয়। করোনা নিয়ে যেকোনো ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে প্রশাসন সতর্ক আছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন