হৃদরোগে আক্রান্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের শারীরিক স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ ২৬ মার্চ রাতে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সম্রাট দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে আক্রান্ত। কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কয়েকবার তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এবং জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেয়া হয়।
তবে ২৬ মার্চ সম্রাটকে হাসপাতালের ভর্তির পর থেকেই আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা তার ‘শারীরিক অবস্থার অবনতি’, ‘সংকটাপন্ন’, ‘চিকিৎসায় অবহেলা’ ইত্যাদি লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম জাগো নিউজকে বলেন, তিনি কারাগারে আসার আগ থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়েছে বলে চিকিৎসক আমাদের জানায়নি। আমরা খোঁজ নিয়েছি তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন করে আর কোনো সমস্যা হয়নি।
কারাসূত্রে জানা গেছে, ২৬শে মার্চ রাতে তার হৃদস্পন্দন (হার্টবিট) একবার বেশি বেড়ে যাচ্ছিল, আবার হঠাৎ অনিয়মিত হচ্ছিল, তাই তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর বেশ কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকার পর ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ ছিল। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের পদ হারাতে হয় তাকে। পরে তাকে নিয়ে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে বন্যপ্রাণী ও মাদক আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানোর একদিন পরই কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। সেখানে এক সপ্তাহ থাকার পর সম্রাটকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
এরপর নিরাপত্তা বিবেচনায় পরে সম্রাটকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত ২৪ নভেম্বর আবার তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন