শ্বাসকষ্ট ও হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক মৃক্তিযোদ্ধা। পরে শহরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত আইসোলেশন ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। গতকাল রোববার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ২টা ১০ মিনিটে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৫ বছর বয়সী এক মুক্তিযোদ্ধা। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে করোনাভাইরাসের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়। আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তির আধা ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল গণমাধ্যমকে বলে, ‘ওই মৃত ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে রাত ২টা ১০ মিনিটে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে এককভাবে হাসপাতালের ওয়ার্ডে আইসোলেটেড করে রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ভুলবশত তাকে করোনাভাইরাসের আইসোলেশনে ইউনিটে নেওয়া হয়।’
তবে তার আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজুর রহমান সরকার বলেন, ‘রাতে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ ব্যক্তি মারা যান। তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। করোনাভাইরাসের আইসোলেশন ইউনিটে তাকে নেওয়া হয়নি, হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সামনে ঠাকুরগাঁও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০ শয্যা বিশিষ্ট করোনাভাইরাস সংক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। এ ইউনিটে এখন পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাঠক মন্তব্য
It is a war. We need war time protocol for the Hospitals. My request to all editors , reports should be verified by second reporter before publishing any report. Safety of the reporters must be a priority.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন