ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন দুই ব্যক্তি। একপর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই নিজেদের বাড়িতে মারা যান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশ কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে না জানিয়ে এবং মৃতদেহের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করিয়ে দাফন করেছেন। নিহতরা হলেন, ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার মো. লাল মিয়া (৫০) ও একই গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার মো. মোগড় আলী (৫৫)।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিফাত নুর বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কোনো ঘটনা ধামরাইয়ে এখনো ঘটেনি। সোমভাগ ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামে যে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন, তারা মূলত দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে ভুগছিলেন।’
এ বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দ্বীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কোনো ঘটনা আমাদের জানা নাই।’
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে ঠাণ্ডা ও শ্বাসসকষ্টজনিত রোগে ওই দুজনের মৃত্যুতে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় অনেকেই বলছেন, মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই দুজন মারা গেছেন। তাই বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে পরিবারের সদস্যরা তাদের গোপনে দাফন করেছেন।
তবে মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, এলাকাবাসীদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে নয়, বার্ধক্যজনিত কারণে ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সামিউল হক বলেন, ‘দুই ব্যক্তির মৃত্যুতে ঘটনা আমার জানা নেই। কিভাবে মারা গেছে তাও আমার জানা নেই।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন