করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রংপুরের পীরগাছা উপজেলা সদরের বিপণী বিতানসহ দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওষুদের দোকান, কাচাঁবাজার ও মুদি দোকান খোলা রাখা হয়েছে। তবে গ্রামের হাট বাজারগুলোতে এখনও কিছু দোকান খোলা রয়েছে।
লোকজনকে জনসমাগম এড়িয়ে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে উপজেলার রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। যাদের এক বেলার পরিশ্রমের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন ছাড়া সংসার চলে না।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেয়া যায়, উপজেলা সদরের প্রায় সকল বিপণী বিতান ও দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হোটেলগুলো বন্ধ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনার কারণে কিছু ওষুদের দোকান, কাচাঁবাজার ও মুদি দোকান খোলা রয়েছে। উপজেলার সকল রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে গ্রামের হাটবাজারে এখনও বেশকিছু দোকান খোলা রয়েছে। রিকশা, ভ্যান ও অটো চালকরা সামান্য আয়ের আশায় রাস্তায় বের হয়েছেন।
উপজেলা সদর বাজারে প্রায় জনশূন্য রাস্তায় ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মোফাজ্জাল হোসেন। তিনি বলেন, কামাই না করলে তো করোনার আগে না খায়া মারা যামো। একদিন ভ্যান চলে কামাই না করলে হাড়ি চুলাত উঠে না। তা হলে হামার ভয় করি কি লাভ। আগে যে কামাই হছিলো এখন তার অর্ধেক কামাই হয় না। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা।
আরেক ভ্যান চালক মহব্বত মিয়া বলেন, করোনাক ভয় করি বাড়িত থাকলে বউ ছাওয়া নিয়া না খায়া থাকা নাগবে। ভয় থাকলেও ভ্যান চালেয়া যেটা কামাই হবে তাক দিয়া চাউল ডাউল কিনি বাড়িত নিয়া গেলে বউ ছাওয়া বাঁচপে।
পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, নির্দেশনা থাকায় উপজেলার সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু ওষুদের দোকান, কাচাঁবাজার ও মুদি দোকান খোলা রাখতে বলা হয়েছে। জনসাধারণকে বাড়িতে থাকতে উৎসাহিত করা হচ্ছে । তবে জনসমাগম এড়িয়ে ওষুদ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করা যাবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন