বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে আপিলের শুনানি শেষ এই ঘোষণা করে ইসি।
সূত্রে জানা যায়, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। এই সময়ে তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন।
সম্পর্কিত খবর
শিশু রিফাত হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেফতার
আওয়ামী লীগ ছাড়া সবার মনোনয়নপত্র বাতিল
মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম
এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমিরুল আলম মিলনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা আর এখন নেই। বিএনপি অবৈধ হওয়ায় এই আসনে আওয়ামী লীগের বিরোধী হিসেবে লড়বেন ক্ষমতাসীনদের জোট শরিক জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী।
এর আগে, খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এবং সময় মত পৌর কর পরিশোধে ব্যর্থতা ও খেলাপি ঋণ থাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়ন পত্রটিও বাতিল করা হয়েছে।
এই আসনে মনোনয়ন জমা দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন। এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া সবার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন বিএনপি ও জাপার প্রার্থী। আপিলে শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন জাপার প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। আর রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র যাচাই করেন গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ভোটগ্রহণ হবে ২১ মার্চ।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন