অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দোকান ও প্রতিষ্ঠানের নামফলকে বাংলায় লেখা নিশ্চিত করতে রাজধানীর গুলশানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার গুলশান ২ নম্বর থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিনিয়া জান্নাত অভিযানটি পরিচালনা করছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিনিয়া জান্নাত জাগো নিউজকে বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দোকান ও প্রতিষ্ঠানের নামফলকে বাংলায় লেখা নিশ্চিত করতে আজ গুলশান ২ নম্বর থেকে অভিযান শুরু করেছি। দিনব্যাপী আমাদের অভিযান চলবে। জনস্বার্থে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত ও উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দেখা গেছে, অভিযানের শুরুতে গুলশান ২ নম্বর মোড়ের পাশে ডিএনসিসি মার্কেট সংলগ্ন রাস্তায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অস্থায়ী দোকানগুলো গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এসব অস্থায়ী দোকানিরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান টের পেয়ে তাদের দোকানগুলোর মালামাল সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।
গত কিছুদিন ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে ডিএনসিসি। এর আগে গতকাল (২৬ ফেব্রুয়ারি) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজধানীর মোহম্মাদ এলাকা অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল ৫) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন।
অভিযানে ঢাকা উদ্যান হাউজিংয়ের রাস্তার ওপর নির্মিত মূল গেট এবং ১টি নির্মাণাধীন গেট অপসারণ করা হয়। ৩টি শপের বিদেশি ভাষায় লিখিত সাইনবোর্ডসহ মোট ২০টি সাইনবোর্ড-বিজ্ঞাপন অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চন্দ্রিমা উদ্যান হাউজিংয়ে ১টি নির্মাণাধীন গেট অপসারণ করা হয়।
পাশাপাশি সড়ক ও ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী রাখার অপরাধে ৩টি হোল্ডিংয়ের মালিকের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ও লাইসেন্সবিহীন ২টি দোকান মালিক থেকে ৩ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন